সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে
- Update Time : ১২:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
- / 172
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখাসহ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
একইসঙ্গে ইসলামকে ব্যবহার করে যারা দেশে উগ্রবাদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে সকল ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি আজ নীলফামারী এবং পঞ্চগড় জেলা সফরে এসে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা ধর্মের নামে হানাহানি লাগাতে চায়, দেশের উন্নয়ন চায় না তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্য ধর্মের প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষসুলভ আচরণ করা যাবে না। ইসলামকে যারা ব্যবহার করতে চাই তাদের রুখে দিতে হবে। এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা সকল নাগরিকের দায়িত্ব উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হয় দেশের সকল মানুষকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সাম্প্রদায়িকতার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দেশগুলোর মানুষ সুখে ছিলো কিন্তু আজ মানুষের চিৎকার আর আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। আমাদের দেশে এরকম পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা চলছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, দেশের সকল জনপ্রতিনিধিরা স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সকল ধর্মের প্রতি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশেকে এক সময় ভিক্ষুকের জাতি বলা হতো। কিন্তু আজকে সারা বিশ্বে দেশটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নকশা তৈরি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ ভাবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এ ধারা কেউ বন্ধ রাখতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে কারো সাথে কোনো আপোষ হবে না। বিএনপির মুখরোচক কথা শুনে দেশের মানুষ আর প্রতারিত হতে চায় না বলেও মনে করে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সৈয়দপুরের জমি নিয়ে রেল-পৌরসভা দ্বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এরকম কোথায় কোন জটিলতা থাকলে তা নিরসন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। সকল পৌরসভাগুলোকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সফরকালে রেল মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়, সৈয়দপুর পৌরসভার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট, পঞ্চগড় পৌরসভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত আয়রন রিমোভাল প্লান্টের ও পানি পরীক্ষাগার, তেঁতুলিয়া উপজেলায় এলজিইডি কর্তৃক পুনর্বাসনকৃত ভজনপুর-শালবাহান সড়কের উদ্বোধন, পঞ্চগড় ময়দান দিঘীতে সিটমহল প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত রাস্তা, মসজিদ ও মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিদর্শনও করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।