ভারত হতে পুশ ব্যাক হলো ১৯ বাংলাদেশী নারী
- Update Time : ১০:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
- / 268
মো: সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):
ভারতে পাচার হওয়া ১৯ বাংলাদেশি নারীকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
২ থেকে ৩ বছর আগে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাচার হয় ঐ সকল নারী। হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ রাজু আহম্মেদ।
ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠিকতা শেষে ফেরৎ আসা ১৯ বাংলাদেশী নারীকে বেনাপোল পোর্টথানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে যশোর জেলা শাখার ৩ টি এনজিও সংস্থা তাদেরকে গ্রহন করেন।
ফেরৎ আসা বাংলাদেশী নারীদের নাম ও ঠিকানা
১। মালেকা মালিক মালেকা(২৯) গ্রাম:-কোদালপুর,থানা:-গোশাইরহাট শরিয়তপুর।
২। মাবিয়া তৈয়ব শেখ(২১) ছন্দপুর,যশোর।
৩। পিংকি দিপক বর্মণ(২০) পিং-হালিম মোল্লা পাড়িয়ারপাড়,কোটালীপাড়া,গোপালগঞ্জ।
৪। মিশাখী মোজাফ্ফর শেখ(১৯),মাতা:-আমেনা আক্তার আখি,লবণচড়াবন্দা,সদর,খুলনা।
৫। মুন্নি(২২),পিং-আবু শেখ,গ্রাম:-মির্জাপুর,মধুখালী,ফরিদপুর।
৬। সোনালী রাজেশভাই শাহ(২৭),পিং-জয়নাল মোড়ল,ঝাপা,মনিরামপুর,যশোর।
৭। নাসরিন(২৮),মাতা:-বেগম হালিমা,সদর,গাজীপুর।
৮। জমিলা(১৬),সীমা শেখ ,সমিতিপাড়া,সদর,কক্সবাজার।
৯। জেসমিন মুনির হুসাইন(২৭),পিং-মুনির হুসাইন,ডরিশোনাকন্দ,বন্দর নারায়নগঞ্জ।
১০। তানিয়া কুদ্দুস শেখ(১৬),পিং-মোঃাব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী,মধ্যপাড়া খিলগাঁও,ঢাকা।
১১। রুকাইয়া কাছিমানি শাজাহপুরওয়ালা(২৪),গ্রাম:-ধলেশ্বরী,সদর,নরসিংদী।
১২। প্রিয়া নবীর মল্লিক(২১),পিং- নবীর মল্লিক,কৃষ্ণপুর,কালিয়া,নড়াইল।
১৩। রিয়া রাজ্জাক মোল্লা(২৭),পিং:- রাজ্জাক মোল্লা,লক্ষীপুর,কালিয়া,নড়াইল।
১৪। পূজা(২৮),পিং-,মোহণতোষ হোছামানি,কোমখালি,সদর,নড়াইল।
১৫। মিনারা খানম মিম(২৮),শুকুরবটা,আলফাডাঙ্গা,ফরিদপুর।
১৬। অনিকা,গোগা,শার্শা,যশোর।
১৭। রিক্তা সহিদুল সরদার,মাতা:-রিক্তা খানম
১৮। পারভিনা আক্তার গাজী,খুলনা।
১৯। নারগিস লাহি শেখ,মাতা:-আসমা বেগম,কোনাহামিপূর্বপাড়া,সদর গাজীপুর।
এনজিওদের নাম:-জাষ্টিজ কেয়ার-আব্দুল মুহিত(যশোর জেলা প্রোগ্রামার অফিসার)। এর মাধ্যমে মোট-১২জন।
রাইটস,যশোর-তৌফিক আহমেদ,(প্রোগ্রামার অফিসার,যশোর)। এর মাধ্যমে মোট-৬ জন।
বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবি সমিতি(Bangladesh National Wemen Lawyer Association-BNWLA)-রেখা বিশ্বাস ও তপণ বিশ্বাস(প্রোগ্রামার অফিসার) এর মাধ্যমে-১জন।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের কথা বলে দালালরা এই নারীদেরকে ঝুকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করে। পরে তারা ভারতের পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। সেখানে মুম্বাই শহরে এক এনজিও’র তত্বাবধানে তাদেরকে রাখা হয়। পরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে বাংলাদেশে আনা হয়।