২০৩৫ সালে দেশে ডায়াবেটিস রোগী হবে সোয়া ২ কোটি: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯ Time View

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, পৃথিবীব্যাপী ডায়াবেটিস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর ৭ মিলিয়ন করে নতুন রোগী তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস রোগীর হার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী আছে।

২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ হতে পারে ডায়াবেটিস রোগী। এর বাইরে, বর্তমানে দেশে ৫০ ভাগ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।

তিনি বলেন, ইদানিং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহুর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ইদানীং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে, যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে ৫ বেডের বার্ন ইউনিট শুরু করেছিলাম, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছি। চেষ্টা থাকলে সবই করা সম্ভব। এভাবে, সবার সহযোগিতা পেলে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই উন্নত করতে পারব।

এসময় চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কী পরিমাণ কাজ করে, তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। হাজার হাজার রোগীকে দিনরাত অক্লান্ত সেবা দিয়ে এই চিকিৎসকরা সুস্থ করে তোলেন। আমি মনে করি তাদেরকে অবশ্যই নোবেল দেয়া উচিত। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে চিকিৎসকদের দোষারোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন, ডা. অরুপ রতনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

২০৩৫ সালে দেশে ডায়াবেটিস রোগী হবে সোয়া ২ কোটি: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

Update Time : ০৯:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, পৃথিবীব্যাপী ডায়াবেটিস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর ৭ মিলিয়ন করে নতুন রোগী তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস রোগীর হার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী আছে।

২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ হতে পারে ডায়াবেটিস রোগী। এর বাইরে, বর্তমানে দেশে ৫০ ভাগ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।

তিনি বলেন, ইদানিং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহুর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ইদানীং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে, যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে ৫ বেডের বার্ন ইউনিট শুরু করেছিলাম, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছি। চেষ্টা থাকলে সবই করা সম্ভব। এভাবে, সবার সহযোগিতা পেলে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই উন্নত করতে পারব।

এসময় চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কী পরিমাণ কাজ করে, তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। হাজার হাজার রোগীকে দিনরাত অক্লান্ত সেবা দিয়ে এই চিকিৎসকরা সুস্থ করে তোলেন। আমি মনে করি তাদেরকে অবশ্যই নোবেল দেয়া উচিত। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে চিকিৎসকদের দোষারোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন, ডা. অরুপ রতনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান।