সু চিকে চিকিৎসা ও খাবার দেয়া হচ্ছে না: এনএলডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৭৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে জান্তা সরকার কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করেছে তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি -এনএলডি।

সু চিকে চিকিৎসা সহায়তা ও খাবার দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।

এক বিবৃতিতে এনএলডি জানিয়েছে, সু চিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না দেয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। এমনকি তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার ও থাকার পরিবেশও দেয়া হচ্ছে না। এভাবে তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে। এর জন্য সামরিক জান্তা সরকারই এককভাবে দায়ী থাকবে বলেও জানিয়েছে এনএলডি।

এই পরিস্থিতিতে সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির জন্য আরও চাপ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাজ্যে বসবাস করা সু চির ছেলে বিবিসিকে গত সপ্তাহে বলেন, তার মা মাথা ঘোরা এবং দাঁতের মাড়ির রোগে ভুগছেন। কিন্তু জান্তা সরকার তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে না। যদিও মায়ের সঙ্গে এই ছেলের সরাসরি যোগাযোগ নেই।

গত সপ্তাহে জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র জন মিন তুন এএফপিকে বলেছিলেন, সু চি অসুস্থ বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা ‘গুজব’। তিনি বলেন, তিনি (সু চি) কোনো অসুখে ভুগছেন না। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা ফের দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর থেকে আটক অবস্থায় আছেন সু চি। নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী কারাবন্দি ৭৮ বছর বয়সী সু চি মাথা ঘোরা, বমি ও দাঁতের সংক্রমণের মতো অসুস্থতায় ভুগছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সু চিকে চিকিৎসা ও খাবার দেয়া হচ্ছে না: এনএলডি

Update Time : ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে জান্তা সরকার কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করেছে তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি -এনএলডি।

সু চিকে চিকিৎসা সহায়তা ও খাবার দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।

এক বিবৃতিতে এনএলডি জানিয়েছে, সু চিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না দেয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। এমনকি তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার ও থাকার পরিবেশও দেয়া হচ্ছে না। এভাবে তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে। এর জন্য সামরিক জান্তা সরকারই এককভাবে দায়ী থাকবে বলেও জানিয়েছে এনএলডি।

এই পরিস্থিতিতে সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির জন্য আরও চাপ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাজ্যে বসবাস করা সু চির ছেলে বিবিসিকে গত সপ্তাহে বলেন, তার মা মাথা ঘোরা এবং দাঁতের মাড়ির রোগে ভুগছেন। কিন্তু জান্তা সরকার তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে না। যদিও মায়ের সঙ্গে এই ছেলের সরাসরি যোগাযোগ নেই।

গত সপ্তাহে জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র জন মিন তুন এএফপিকে বলেছিলেন, সু চি অসুস্থ বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা ‘গুজব’। তিনি বলেন, তিনি (সু চি) কোনো অসুখে ভুগছেন না। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা ফের দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর থেকে আটক অবস্থায় আছেন সু চি। নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী কারাবন্দি ৭৮ বছর বয়সী সু চি মাথা ঘোরা, বমি ও দাঁতের সংক্রমণের মতো অসুস্থতায় ভুগছেন।