ময়মনসিংহে নবজাতককে বিক্রির সময় গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • / ১৩৮ Time View

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহে নবজাতক বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ সময় নয় দিন বয়সী এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর আসামিদের থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এএসআই দিদারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার তিন জন হচ্ছে– ময়মনসিংহ মহানগরীর ইয়াসিন আরাফাত(২৯), নাইম ওরফে রনি(২১) ও জুবেদা আক্তার(৩৫)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রবিবার বিকালে ময়মনসিংহ ১ নম্বর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল বিচারক আব্দুল হাইয়ের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আসামি হাসপাতালের আয়া জুবেদা আক্তার নবজাতক বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ সময় পুলিশ তাদের সাত দিনের রিমান্ড চায়। বিচারক পরবর্তী রিমান্ডের শুনানির নির্দেশ দিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার শিরিনা আক্তার গত নয় দিন আগে ময়মনসিংহ মহানগরীর আল বারাকাহ প্রাইভেট হাসপাতালে এক নবজাতকের জন্ম দেন। শিরিনার স্বামী তিন বছর আগেই মারা যান। শিরিরা এই বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরতে রাজি না হওয়ায় অপর দুই আসামি তার শ্বশুর সমীর উদ্দিন(৭০), কাইয়ুম মিয়া (৩৩) এবং গ্রেফতার ওই তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে ঢাকার বাসিন্দা শহিদুল হক তালুকদারের কাছে এক লাখ টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। নবজাতককে ময়মনসিংহের তারাকান্দার বালিখা গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়।

শনিবার শহিদুল হক তালুকদার ঢাকা থেকে নবজাতককে নেওয়ার জন্য আসলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নবজাতককে তারাকান্দার বালিখা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। র‌্যাব এই মামলার বাদী করেছে টাকার বিনিমিয়ে নবজাতককে নিতে আসা শহিদুল হক তালুকদারকে। মামলায় নবজাতকের মা শিরিনাকেও আসামি করা হয়েছে।

উদ্ধার নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে পুলিশ।

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ময়মনসিংহে নবজাতককে বিক্রির সময় গ্রেফতার ৩

Update Time : ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহে নবজাতক বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ সময় নয় দিন বয়সী এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর আসামিদের থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এএসআই দিদারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার তিন জন হচ্ছে– ময়মনসিংহ মহানগরীর ইয়াসিন আরাফাত(২৯), নাইম ওরফে রনি(২১) ও জুবেদা আক্তার(৩৫)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রবিবার বিকালে ময়মনসিংহ ১ নম্বর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল বিচারক আব্দুল হাইয়ের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আসামি হাসপাতালের আয়া জুবেদা আক্তার নবজাতক বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ সময় পুলিশ তাদের সাত দিনের রিমান্ড চায়। বিচারক পরবর্তী রিমান্ডের শুনানির নির্দেশ দিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার শিরিনা আক্তার গত নয় দিন আগে ময়মনসিংহ মহানগরীর আল বারাকাহ প্রাইভেট হাসপাতালে এক নবজাতকের জন্ম দেন। শিরিনার স্বামী তিন বছর আগেই মারা যান। শিরিরা এই বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরতে রাজি না হওয়ায় অপর দুই আসামি তার শ্বশুর সমীর উদ্দিন(৭০), কাইয়ুম মিয়া (৩৩) এবং গ্রেফতার ওই তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে ঢাকার বাসিন্দা শহিদুল হক তালুকদারের কাছে এক লাখ টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। নবজাতককে ময়মনসিংহের তারাকান্দার বালিখা গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়।

শনিবার শহিদুল হক তালুকদার ঢাকা থেকে নবজাতককে নেওয়ার জন্য আসলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নবজাতককে তারাকান্দার বালিখা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। র‌্যাব এই মামলার বাদী করেছে টাকার বিনিমিয়ে নবজাতককে নিতে আসা শহিদুল হক তালুকদারকে। মামলায় নবজাতকের মা শিরিনাকেও আসামি করা হয়েছে।

উদ্ধার নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে পুলিশ।

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।