নেত্রকোনায় ভেসে গেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১১৯ Time View

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

হঠাৎ অতিবৃষ্টি হওয়ায় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পুকুর-দিঘি ও খামারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য চাষিরা।

মৎস্য চাষিরা বলছেন, এই বিশাল ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবেই তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন।

কেন্দুয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, কেন্দুয়ার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের পুকুর-দিঘি ও খামারের সংখ্যা ১ হাজার ১৮৫টি। এসবের আয়তন ২৮৫ হেক্টর। অতিবৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া মাছের পরিমাণ ২ হাজার ৫৬৫ টন এবং পোনার পরিমাণ ২০০ টন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষির সংখ্যা ৭৫৮।

রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমান আকন্দ বিডি সমাচার কে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে তাঁর ইউনিয়নে মৎস্য চাষিদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন। তিনি সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তার দাবি করেছেন।

নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কায়সার বলেন, খালবিল, নদীনালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সহজে নামতে না পারায় খামারের মাছ ভেসে গেছে। এতে কৃষকদের সর্বনাশ হয়েছে। তিনি মৎস্য চাষিদের কৃষি ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বলইশিমুল ইউনিয়নের কুমুরুরা গ্রামের মৎস্য চাষি উজ্জ্বল সরকারের দাবি, তাঁর ১ একর ২০ শতাংশ খামারে মাছ চাষ ছিল। বৃষ্টির পানিতে পাড় ভেঙে ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। তাঁর মতো অনেক মৎস্য চাষি এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জানান, বৃষ্টির কারণে কেন্দুয়া উপজেলার প্রায় ৩৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মাছ,৩ কোটি টাকার পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়া ১৭ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতির বিবরণসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

নেত্রকোনায় ভেসে গেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মাছ

Update Time : ০৩:১৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

হঠাৎ অতিবৃষ্টি হওয়ায় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পুকুর-দিঘি ও খামারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য চাষিরা।

মৎস্য চাষিরা বলছেন, এই বিশাল ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবেই তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন।

কেন্দুয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, কেন্দুয়ার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের পুকুর-দিঘি ও খামারের সংখ্যা ১ হাজার ১৮৫টি। এসবের আয়তন ২৮৫ হেক্টর। অতিবৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া মাছের পরিমাণ ২ হাজার ৫৬৫ টন এবং পোনার পরিমাণ ২০০ টন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষির সংখ্যা ৭৫৮।

রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমান আকন্দ বিডি সমাচার কে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে তাঁর ইউনিয়নে মৎস্য চাষিদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন। তিনি সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তার দাবি করেছেন।

নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কায়সার বলেন, খালবিল, নদীনালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সহজে নামতে না পারায় খামারের মাছ ভেসে গেছে। এতে কৃষকদের সর্বনাশ হয়েছে। তিনি মৎস্য চাষিদের কৃষি ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বলইশিমুল ইউনিয়নের কুমুরুরা গ্রামের মৎস্য চাষি উজ্জ্বল সরকারের দাবি, তাঁর ১ একর ২০ শতাংশ খামারে মাছ চাষ ছিল। বৃষ্টির পানিতে পাড় ভেঙে ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। তাঁর মতো অনেক মৎস্য চাষি এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম জানান, বৃষ্টির কারণে কেন্দুয়া উপজেলার প্রায় ৩৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মাছ,৩ কোটি টাকার পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়া ১৭ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতির বিবরণসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে।