বট-পাকুড়ের বিয়ে, নিমন্ত্রণ পেলেন দেড় হাজার মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৭৮ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে ধুমধাম করে ১৭ বছর বয়সী একটি বট ও পাকুড় গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজশাহী নগরীর খড়খড়ির শ্রী শ্রী গোপালদেব ঠাকুর মন্দির প্রাঙ্গনে থাকা গাছ দুটিকে হিন্দুশাস্ত্র মতে বিয়ে দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৭ বছর আগে পাশাপাশি লাগানো হয় গাছ দুটি। বিয়েতে বট গাছটিকে “বর” এবং পাকুড় গাছটিকে “কনে” ধরা হয়েছে। বিয়ের আগে বট গাছের নাম বিজয় আর পাকুড় গাছের নাক বনলতা রাখা হয়েছে। বিয়েতে বটের বাবা-মা হয়েছিলেন বিধান চন্দ্র সরকার ও আরতি রানী সরকার দম্পতি। অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ সরকার ও কনিকা রানী সরকার দম্পতি হন পাকুড়ের বাবা-মা।

মন্দির প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বিয়ের জন্য গোটা মন্দিরকেই নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নিমন্ত্রণ পেয়েছেন দেড় হাজার মানুষ। দুপুরে আমন্ত্রিতদের পোলাও, সবজি ঘণ্ট, পায়েস ও জলপাইয়ের আচার খাওয়ানো হয়।

খাওয়া-দাওয়া, বাদ্য-বাজনা ও নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে পুরোহিত পুলক আচার্য শুরু করেন বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে গোধুলিলগ্নে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার জানান, “হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী বট-পাকুড় একসঙ্গে থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। সেজন্যই এতো আয়োজন। এ বিয়েতে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।”

“কনে পাকুড়”-এর মা কনিকা রানী সরকার বলেন, “১০ দিন আগে আমি পাকুড়ের মা হয়েছি। মেয়ের বিয়ে দিয়ে আমি আনন্দিত।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বট-পাকুড়ের বিয়ে, নিমন্ত্রণ পেলেন দেড় হাজার মানুষ!

Update Time : ০১:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে ধুমধাম করে ১৭ বছর বয়সী একটি বট ও পাকুড় গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজশাহী নগরীর খড়খড়ির শ্রী শ্রী গোপালদেব ঠাকুর মন্দির প্রাঙ্গনে থাকা গাছ দুটিকে হিন্দুশাস্ত্র মতে বিয়ে দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৭ বছর আগে পাশাপাশি লাগানো হয় গাছ দুটি। বিয়েতে বট গাছটিকে “বর” এবং পাকুড় গাছটিকে “কনে” ধরা হয়েছে। বিয়ের আগে বট গাছের নাম বিজয় আর পাকুড় গাছের নাক বনলতা রাখা হয়েছে। বিয়েতে বটের বাবা-মা হয়েছিলেন বিধান চন্দ্র সরকার ও আরতি রানী সরকার দম্পতি। অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ সরকার ও কনিকা রানী সরকার দম্পতি হন পাকুড়ের বাবা-মা।

মন্দির প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বিয়ের জন্য গোটা মন্দিরকেই নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নিমন্ত্রণ পেয়েছেন দেড় হাজার মানুষ। দুপুরে আমন্ত্রিতদের পোলাও, সবজি ঘণ্ট, পায়েস ও জলপাইয়ের আচার খাওয়ানো হয়।

খাওয়া-দাওয়া, বাদ্য-বাজনা ও নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে পুরোহিত পুলক আচার্য শুরু করেন বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে গোধুলিলগ্নে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার জানান, “হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী বট-পাকুড় একসঙ্গে থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। সেজন্যই এতো আয়োজন। এ বিয়েতে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।”

“কনে পাকুড়”-এর মা কনিকা রানী সরকার বলেন, “১০ দিন আগে আমি পাকুড়ের মা হয়েছি। মেয়ের বিয়ে দিয়ে আমি আনন্দিত।”