‘বঙ্গবন্ধুর কাজের সংখ্যা ও ব্যাপ্তি আমাদের বিস্মিত করে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৪৩ Time View

রাবি প্রতিনিধি:

অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগ ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছিল তাঁদের অন্যতম রাবি শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা। এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান নতিস্বীকার করে এবং বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রকে একটি দৃঢ় ভিত্তি দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছের। তাঁর গৃহিত নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষাবিদ, প্রশাসক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সমন্বিত করেছেন। এত অল্প সময়ে বহু কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন যার সংখ্যা ও ব্যাপ্তি আমাদের বিস্মিত করে’।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘জোহা স্মারক বক্তৃতা ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনব্যাপী সাধনা ও সংগ্রামের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে ‘মানব-হিতৈষণা’। তিনি বালক বয়সে মুসলিম সেবা সমিতি গঠন, জিন্নাহ ফান্ডের নামে জেলে, মাঝি, কৃষক ও সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিজের ছাত্রত্ব বিসর্জন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জনকল্যাণ চিন্তা ও দর্শন এবং এর সঙ্গে যুক্ত শান্তির অন্বেষণ আজ বহুমেরু বিশ্বেও গুরুত্ববহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন অধ্যয়ন তাই একবিংশ শতাব্দীতে নতুন আলোকসম্পাত ঘটাতে পারে। সেজন্যই বঙ্গবন্ধুর জীবনকে সামগ্রিকভাবে অধ্যয়ন করা জরুরি।

রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদের সভাপতিত্বে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা এম তারেক নূরসহ বিভিন্ন অনুষদ অধিকর্তা, রসায়ন বিভাগসহ অন্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘বঙ্গবন্ধুর কাজের সংখ্যা ও ব্যাপ্তি আমাদের বিস্মিত করে’

Update Time : ০১:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

রাবি প্রতিনিধি:

অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগ ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছিল তাঁদের অন্যতম রাবি শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা। এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান নতিস্বীকার করে এবং বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রকে একটি দৃঢ় ভিত্তি দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছের। তাঁর গৃহিত নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষাবিদ, প্রশাসক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সমন্বিত করেছেন। এত অল্প সময়ে বহু কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন যার সংখ্যা ও ব্যাপ্তি আমাদের বিস্মিত করে’।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘জোহা স্মারক বক্তৃতা ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনব্যাপী সাধনা ও সংগ্রামের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে ‘মানব-হিতৈষণা’। তিনি বালক বয়সে মুসলিম সেবা সমিতি গঠন, জিন্নাহ ফান্ডের নামে জেলে, মাঝি, কৃষক ও সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিজের ছাত্রত্ব বিসর্জন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জনকল্যাণ চিন্তা ও দর্শন এবং এর সঙ্গে যুক্ত শান্তির অন্বেষণ আজ বহুমেরু বিশ্বেও গুরুত্ববহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন অধ্যয়ন তাই একবিংশ শতাব্দীতে নতুন আলোকসম্পাত ঘটাতে পারে। সেজন্যই বঙ্গবন্ধুর জীবনকে সামগ্রিকভাবে অধ্যয়ন করা জরুরি।

রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদের সভাপতিত্বে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা এম তারেক নূরসহ বিভিন্ন অনুষদ অধিকর্তা, রসায়ন বিভাগসহ অন্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।