প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি পূরণের দায়িত্ব নিলেন ডা. মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৫৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২২৩ Time View

প্রতিবেদকঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম হাসড়া মাজালিয়ায় মিলন স্মৃতি পাঠাগারের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

‘পড়ি বই, আলোকিত হই’ -স্লোগানে মো. আসাদুজ্জামান ওরফে আতিফ আসাদ নামে এক তরুণের উদ্যোগে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই শহীদ পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়।জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিফ আসাদ। ১২ মাস ছুটে বেড়ান মানুষের বাড়ি বাড়ি। সকাল কিংবা সন্ধ্যা দুই চাকার সাইকেলের পেছনে বইয়ের বান্ডেল। গ্রাম থেকে গ্রামে বিনামূল্যে মানুষের হাতে তুলে দেন বিভিন্ন ধরনের বই। ২০টি বই দিয়ে শুরু করা তার পাঠাগারে এখন ২ হাজার বই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে শনিবার সন্ধ্যায় জরাজীর্ণ পাঠাগারটির নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান।

এসময় সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান বলেছেন, আসাদের পাঠাগারের নতুন ভবন নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা আমি করবো। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমান প্রজন্মকে নেশা থেকে দূরে রাখতেও বেশি বেশি বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি পাঠাগারের সার্বিক উন্নয়ন কাজের নগদ অর্থ উদ্যোক্তা আসাদের হাতে তুলে দেন। এ সময় সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রইচ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল বলেন, “সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই পাঠাগার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। পাঠাগার ভবনের জন্য যা যা করার দরকার তার সবই করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”

আসাদ সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে কিনতে পারে না। তাদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ‘মিলন স্মৃতি পাঠাগার’ এর যাত্রা শুরু হয়। তার পাঠাগার থেকে এলাকার লোকজন বিনামূল্যে বই পড়তে পারছেন। পাঠকদের তালিকায় বেশির ভাগ ছাত্র হলেও গ্রামের অনেকেই এখন বই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন পড়ার জন্য। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সংশ্লিষ্ট বইয়েরও বেশ চাহিদা রয়েছে বলে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এ ছাত্র জানালেন।

সরিষাবাড়ীর ১৯ বছরের এ তরুণ কখনও রং-মিস্ত্রির সহযোগী; কখনও রাজমিস্ত্রির। আসাদ শ্রমিকের কাজ করলেও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে প্রতিটি ঘরে জ্ঞানের আলো ছড়াতে তার লক্ষ্য ছিলো স্থির। হাঁড়ভাঙা খাটুনির টাকা জমিয়ে তাই পড়াশুনার পাশাপাশি পাঠাগার গড়েছেন। একটি-দুটি করে তার পাঠাগারের সংখ্যা এখন ১৬ তে দাঁড়িয়েছে। আর এই কাজের প্রতিদান হিসেবে এই অদম্য তরুণ পেয়েছেন ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।’ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর হাত থেকে আতিফ আসাদ এই পুরস্কার গ্রহন করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি পূরণের দায়িত্ব নিলেন ডা. মুরাদ

Update Time : ০৯:৫৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

প্রতিবেদকঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম হাসড়া মাজালিয়ায় মিলন স্মৃতি পাঠাগারের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

‘পড়ি বই, আলোকিত হই’ -স্লোগানে মো. আসাদুজ্জামান ওরফে আতিফ আসাদ নামে এক তরুণের উদ্যোগে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই শহীদ পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়।জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিফ আসাদ। ১২ মাস ছুটে বেড়ান মানুষের বাড়ি বাড়ি। সকাল কিংবা সন্ধ্যা দুই চাকার সাইকেলের পেছনে বইয়ের বান্ডেল। গ্রাম থেকে গ্রামে বিনামূল্যে মানুষের হাতে তুলে দেন বিভিন্ন ধরনের বই। ২০টি বই দিয়ে শুরু করা তার পাঠাগারে এখন ২ হাজার বই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে শনিবার সন্ধ্যায় জরাজীর্ণ পাঠাগারটির নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান।

এসময় সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান বলেছেন, আসাদের পাঠাগারের নতুন ভবন নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা আমি করবো। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমান প্রজন্মকে নেশা থেকে দূরে রাখতেও বেশি বেশি বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি পাঠাগারের সার্বিক উন্নয়ন কাজের নগদ অর্থ উদ্যোক্তা আসাদের হাতে তুলে দেন। এ সময় সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রইচ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন মুকুল বলেন, “সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই পাঠাগার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। পাঠাগার ভবনের জন্য যা যা করার দরকার তার সবই করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”

আসাদ সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে কিনতে পারে না। তাদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ‘মিলন স্মৃতি পাঠাগার’ এর যাত্রা শুরু হয়। তার পাঠাগার থেকে এলাকার লোকজন বিনামূল্যে বই পড়তে পারছেন। পাঠকদের তালিকায় বেশির ভাগ ছাত্র হলেও গ্রামের অনেকেই এখন বই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন পড়ার জন্য। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সংশ্লিষ্ট বইয়েরও বেশ চাহিদা রয়েছে বলে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এ ছাত্র জানালেন।

সরিষাবাড়ীর ১৯ বছরের এ তরুণ কখনও রং-মিস্ত্রির সহযোগী; কখনও রাজমিস্ত্রির। আসাদ শ্রমিকের কাজ করলেও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে প্রতিটি ঘরে জ্ঞানের আলো ছড়াতে তার লক্ষ্য ছিলো স্থির। হাঁড়ভাঙা খাটুনির টাকা জমিয়ে তাই পড়াশুনার পাশাপাশি পাঠাগার গড়েছেন। একটি-দুটি করে তার পাঠাগারের সংখ্যা এখন ১৬ তে দাঁড়িয়েছে। আর এই কাজের প্রতিদান হিসেবে এই অদম্য তরুণ পেয়েছেন ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।’ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর হাত থেকে আতিফ আসাদ এই পুরস্কার গ্রহন করে।