প্রথম ম্যাচেই অঘটন! চ্যাম্পিয়ন বধ নামিবিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৮৬ Time View

স্পোর্টস ডেস্কঃ

অঘটন দিয়েই শুরু হল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! লড়াইয়ে শুরুতেই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠলেও খেলা যত গড়িয়েছে দাপটের সঙ্গেই লঙ্কানদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নামিবিয়া। ফ্রাইলিঙ্ক ও স্মিতের ব্যাটে এশিয়ান জায়ান্টদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করানোর পর দুরন্ত বোলিংয়ে লঙ্কাকে কোণঠাসা করে দিয়ে আফ্রিকার দলটি তুলে নেয় দুর্দান্ত জয়।

রোববার নামিবিয়া ও শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়ায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জিলংয়ের এন্ড্রু সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে গেরহার্ড এরাসমাসের দল।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে জ্যান ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে তার ২৮ বলের এই ইনিংসে ছিল ৪টি দর্শনীয় চারের মার।

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে জে জে স্মিতের ব্যাট থেকে। সমান দুটি করে মারা চার-ছক্কায় মাত্র ১৬ বলের ক্যামিও ইনিংসটি খেলেন ৮ নম্বরে নামা এই হার্ডহিটার।

মূলত ৭ম উইকেটে এই দুজনের ৩৩ বলে যোগ করা ৬৯ রানের জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং ওই স্কোর পায় আফ্রিকার দেশটি।

নামিবিয়ার দেয়া ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেমে রীতিমত খেই হারিয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কান ব্যাটাররা। ১৩ ওভারে বোর্ডে ৮৩ রান জমা হলেও হারিয়ে ফেলে উপরের সারির ৬ ব্যাটারকে। চতুর্থ ওভারে তো পরপর দুই উইকেট নিয়ে রীতিমত হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন নামিবিয়ান পেসার বেন শিকঙ্গো।

যদিও সেটা আর হয়নি, বলটি অন দ্য লাইনে না থাকায়। তবে লঙ্কান শিবিরে ঠিকই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার, নিয়েছেন মেডেন।

শুরুটা করেছিলেন অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের হয়ে খেলা ডানহাতি পেসার ডেভিড উইসে। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই তিনি তুলে নেন মারকুটে কুশল মেন্ডিসিকে। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি ৬টি বল খেলার এই ওপেনার।

পরে চতুর্থ ওভারে এসেই পরপর দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কা (৯) ও দানুশকা গুনাথিলাকাকে (০) সাজঘরে ফেরান শিকঙ্গো। ফলে ২১ রানেই তৃতীয় উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে দাসুন শানাকার দল। এরপর ৭ম ওভারে আউট হয়ে ফেরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও (১২)।

পরে ভানুকা, হাসারাঙ্গা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা হারিয়ে রীতিমত অঘটনের শঙ্কায় পড়ে এবারের এশিয়া কাপ ও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

যার শেষটা হয় চামিকা করুনারত্নে (৫), প্রমোদ মদুশঙ্কা (০) ও দুশমন্থা চামিরা (8) আউট হওয়ার মধ্যদিয়ে। এগারো নম্বর ব্যাটার মাহিশ থিকশানা ১১ রান করে অপরাজিত থাকলেও বড় পরাজয় এড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। নামিবিয়ার কাছে হেরে যায় ৫৫ রানে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রথম ম্যাচেই অঘটন! চ্যাম্পিয়ন বধ নামিবিয়ার

Update Time : ০১:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

অঘটন দিয়েই শুরু হল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! লড়াইয়ে শুরুতেই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠলেও খেলা যত গড়িয়েছে দাপটের সঙ্গেই লঙ্কানদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নামিবিয়া। ফ্রাইলিঙ্ক ও স্মিতের ব্যাটে এশিয়ান জায়ান্টদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করানোর পর দুরন্ত বোলিংয়ে লঙ্কাকে কোণঠাসা করে দিয়ে আফ্রিকার দলটি তুলে নেয় দুর্দান্ত জয়।

রোববার নামিবিয়া ও শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়ায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জিলংয়ের এন্ড্রু সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে গেরহার্ড এরাসমাসের দল।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে জ্যান ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে তার ২৮ বলের এই ইনিংসে ছিল ৪টি দর্শনীয় চারের মার।

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে জে জে স্মিতের ব্যাট থেকে। সমান দুটি করে মারা চার-ছক্কায় মাত্র ১৬ বলের ক্যামিও ইনিংসটি খেলেন ৮ নম্বরে নামা এই হার্ডহিটার।

মূলত ৭ম উইকেটে এই দুজনের ৩৩ বলে যোগ করা ৬৯ রানের জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং ওই স্কোর পায় আফ্রিকার দেশটি।

নামিবিয়ার দেয়া ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেমে রীতিমত খেই হারিয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কান ব্যাটাররা। ১৩ ওভারে বোর্ডে ৮৩ রান জমা হলেও হারিয়ে ফেলে উপরের সারির ৬ ব্যাটারকে। চতুর্থ ওভারে তো পরপর দুই উইকেট নিয়ে রীতিমত হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন নামিবিয়ান পেসার বেন শিকঙ্গো।

যদিও সেটা আর হয়নি, বলটি অন দ্য লাইনে না থাকায়। তবে লঙ্কান শিবিরে ঠিকই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার, নিয়েছেন মেডেন।

শুরুটা করেছিলেন অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের হয়ে খেলা ডানহাতি পেসার ডেভিড উইসে। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই তিনি তুলে নেন মারকুটে কুশল মেন্ডিসিকে। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি ৬টি বল খেলার এই ওপেনার।

পরে চতুর্থ ওভারে এসেই পরপর দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কা (৯) ও দানুশকা গুনাথিলাকাকে (০) সাজঘরে ফেরান শিকঙ্গো। ফলে ২১ রানেই তৃতীয় উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে দাসুন শানাকার দল। এরপর ৭ম ওভারে আউট হয়ে ফেরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও (১২)।

পরে ভানুকা, হাসারাঙ্গা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা হারিয়ে রীতিমত অঘটনের শঙ্কায় পড়ে এবারের এশিয়া কাপ ও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

যার শেষটা হয় চামিকা করুনারত্নে (৫), প্রমোদ মদুশঙ্কা (০) ও দুশমন্থা চামিরা (8) আউট হওয়ার মধ্যদিয়ে। এগারো নম্বর ব্যাটার মাহিশ থিকশানা ১১ রান করে অপরাজিত থাকলেও বড় পরাজয় এড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। নামিবিয়ার কাছে হেরে যায় ৫৫ রানে।