নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার বিটিআরসি উপপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলার গ্রেপ্তার হয়েছেন বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) কর্মকর্তা সনজিব কুমার সিংহ। শুক্রবার ভুক্তভোগী এক নারী ধানমণ্ডি থানায় মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলার একমাত্র আসামি সনজিব।

গ্রেপ্তার সনজিব ময়মনসিংহের আরকে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিংহের ছেলে এবং ঢাকায় ধানমণ্ডি এলাকায় বসবাস করে। তিনি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপ পরিচালক হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সনজিব। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সনজিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। কিন্তু সনজিব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শারিরিকভাবে নির্যাতন করেন। গত ১৫ আগস্ট ওই নারীকে সনজিব তার ধানমণ্ডির বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আহত অবস্থায় কৌশলে ওই নারী বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে সনজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী মামলা করার পর আসামি সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার বিটিআরসি উপপরিচালক

Update Time : ০৪:১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলার গ্রেপ্তার হয়েছেন বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) কর্মকর্তা সনজিব কুমার সিংহ। শুক্রবার ভুক্তভোগী এক নারী ধানমণ্ডি থানায় মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলার একমাত্র আসামি সনজিব।

গ্রেপ্তার সনজিব ময়মনসিংহের আরকে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিংহের ছেলে এবং ঢাকায় ধানমণ্ডি এলাকায় বসবাস করে। তিনি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপ পরিচালক হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সনজিব। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সনজিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। কিন্তু সনজিব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শারিরিকভাবে নির্যাতন করেন। গত ১৫ আগস্ট ওই নারীকে সনজিব তার ধানমণ্ডির বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আহত অবস্থায় কৌশলে ওই নারী বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে সনজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী মামলা করার পর আসামি সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।