দেশে নিপাহ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৩১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ Time View

দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মধ্যবয়সী ব্যক্তির বাড়ি মানিকগঞ্জ। তিনি একজন পুরুষ। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটা এ বছর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিষ্ঠান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৪ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত বছরের মধ্যে তা সর্বোচ্চ। এ বছর মৃত্যু আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৩৪টি জেলায় এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয় ২০০৪ সালে। সে বছর ৬৭ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। সে বছর ফরিদপুরে নিপাহ ভাইরাসে ৩৫ জন আক্রান্ত হন, তার মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। শতকরা হিসাবে যা মোট রোগীর ৭১ শতাংশ।

গত বছর ডিসেম্বর আইইডিসিআরের আয়োজনে ‘নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার এবং ঝুঁকিবিষয়ক অবহিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনার সভা হয়। সভায় এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো নরসিংদী জেলায় সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতদিন শুধু উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণ ঘটছে ধারণা করা হলেও এখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি দেশের মধ্যাঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে। নিপাহ সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারির ১০টি হুমকির একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তিনি বলেন, মূলত খেজুরের কাঁচা রস পান করেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে ব্যাপকহারে খেজুরের কাচা রস বিক্রি বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে নিপাহ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু

Update Time : ০৯:৩১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মধ্যবয়সী ব্যক্তির বাড়ি মানিকগঞ্জ। তিনি একজন পুরুষ। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটা এ বছর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। রোগ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিষ্ঠান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৪ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত বছরের মধ্যে তা সর্বোচ্চ। এ বছর মৃত্যু আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৩৪টি জেলায় এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয় ২০০৪ সালে। সে বছর ৬৭ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। সে বছর ফরিদপুরে নিপাহ ভাইরাসে ৩৫ জন আক্রান্ত হন, তার মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। শতকরা হিসাবে যা মোট রোগীর ৭১ শতাংশ।

গত বছর ডিসেম্বর আইইডিসিআরের আয়োজনে ‘নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার এবং ঝুঁকিবিষয়ক অবহিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনার সভা হয়। সভায় এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো নরসিংদী জেলায় সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতদিন শুধু উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণ ঘটছে ধারণা করা হলেও এখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি দেশের মধ্যাঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে। নিপাহ সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারির ১০টি হুমকির একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তিনি বলেন, মূলত খেজুরের কাঁচা রস পান করেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে ব্যাপকহারে খেজুরের কাচা রস বিক্রি বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।