ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৩১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৩৫ Time View

হুমায়ুন কবির, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী, উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। এদের মধ্যে সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন ওরমজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ জানান, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ ভুট্টাক্ষেতে এক‌টি মস্তকবিহীন মরদেহ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এসআই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার করেন। যার তদন্তভার একই থানার আরেক এসআই মো. আতিকুল ইসলামের ওপর অর্পিত হয়। তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলে তার দেওয়া তথ্যে ইটভাটা থেকে এক‌টি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।

এ আইনজীবী আরও বলেন, পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এসআই ফরহাদ আলীর ওপর অর্পিত হলে তিনি আটজনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে আটজনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনরায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Update Time : ০৯:৩১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

হুমায়ুন কবির, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী, উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। এদের মধ্যে সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন ওরমজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ জানান, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ ভুট্টাক্ষেতে এক‌টি মস্তকবিহীন মরদেহ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এসআই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার করেন। যার তদন্তভার একই থানার আরেক এসআই মো. আতিকুল ইসলামের ওপর অর্পিত হয়। তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলে তার দেওয়া তথ্যে ইটভাটা থেকে এক‌টি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।

এ আইনজীবী আরও বলেন, পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এসআই ফরহাদ আলীর ওপর অর্পিত হলে তিনি আটজনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে আটজনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনরায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।