কাস্টমসের গুদাম থেকে স্বর্ণ গায়েব, উদ্ধার তৎপরতা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজের তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় মামলার পর মাঠে নেমেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশও। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সংরক্ষিত এলাকায় থেকে চুরি হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এটি চুরি নাকি ভেতরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আত্মসাৎ করেছে তা নিশ্চিত না।

সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন।

তিনি বলেন, কয়েক ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটা হতে পারে আত্মসাৎ, অথবা বাইরের কারো কাজ। কাস্টমস এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

তিনি বলেন, অপরাধী ধরতে গুদামের পাহারায় থাকা চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুদামের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ চলছে।

তিনি জানান, গুদামে থাকা বাকি ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

সূত্র বলছে, এই ঘটনায় কাস্টমসের গুদাম ঘরের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তার অবহেলাকে দায়ি করা হচ্ছে।

এদিকে একই দিন দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এয়ারপোর্টে কাস্টমস হাউসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে প্রায় ৫৬ কেজি স্বর্ণ চুরি যাওয়ার আলামত পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে পায়নি।

তিনি বলেন, গুদামে বাইরের কোনো ব্যক্তির প্রবেশেরও আলামত মেলেনি। তাদের ধারনা, ধাপে ধাপে স্বর্ণ সরানো হতে পারে। এখানে প্রতিটি প্যাকেট থেকে কিছু কিছু করে স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার সরানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে গুদামের দায়িত্বে নিয়োজিত কাস্টমস হাউসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাবাদ করা হবে।

এর আগে কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ একাত্তরকে জানিয়েছিলেন, গুদাম থেকে আনুমানিক ৫০ কেজি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। গত ৩০ আগস্ট ৪৮ অফিসারকে চার শিফটে জব্দ স্বর্ণ হেফাজতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তাদের আলাদা আলাদা লকার দেখে রাখতে হতো।

২৪ ঘণ্টায় ২২৮০৫ গাড়ি থেকে টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা২৪ ঘণ্টায় ২২৮০৫ গাড়ি থেকে টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা
তিনি জানিয়েছিলেন, শনিবার দায়িত্ব নেওয়ার আগে গোডাউন অফিসার দেখতে পান তার লকারের তালা ভাঙা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তারা ঘটনাস্থলে আসেন। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, কাস্টমসের গোডাউন থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৫০ কেজি স্বর্ণ।

উধাও হওয়া স্বর্ণগুলো ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছিলও বলে জানান ওই কাস্টমস কর্মকর্তা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কাস্টমসের গুদাম থেকে স্বর্ণ গায়েব, উদ্ধার তৎপরতা শুরু

Update Time : ০৩:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউজের তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় মামলার পর মাঠে নেমেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশও। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সংরক্ষিত এলাকায় থেকে চুরি হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এটি চুরি নাকি ভেতরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আত্মসাৎ করেছে তা নিশ্চিত না।

সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন।

তিনি বলেন, কয়েক ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটা হতে পারে আত্মসাৎ, অথবা বাইরের কারো কাজ। কাস্টমস এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

তিনি বলেন, অপরাধী ধরতে গুদামের পাহারায় থাকা চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুদামের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ চলছে।

তিনি জানান, গুদামে থাকা বাকি ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

সূত্র বলছে, এই ঘটনায় কাস্টমসের গুদাম ঘরের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তার অবহেলাকে দায়ি করা হচ্ছে।

এদিকে একই দিন দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এয়ারপোর্টে কাস্টমস হাউসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে প্রায় ৫৬ কেজি স্বর্ণ চুরি যাওয়ার আলামত পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে পায়নি।

তিনি বলেন, গুদামে বাইরের কোনো ব্যক্তির প্রবেশেরও আলামত মেলেনি। তাদের ধারনা, ধাপে ধাপে স্বর্ণ সরানো হতে পারে। এখানে প্রতিটি প্যাকেট থেকে কিছু কিছু করে স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার সরানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে গুদামের দায়িত্বে নিয়োজিত কাস্টমস হাউসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাবাদ করা হবে।

এর আগে কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ একাত্তরকে জানিয়েছিলেন, গুদাম থেকে আনুমানিক ৫০ কেজি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। গত ৩০ আগস্ট ৪৮ অফিসারকে চার শিফটে জব্দ স্বর্ণ হেফাজতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তাদের আলাদা আলাদা লকার দেখে রাখতে হতো।

২৪ ঘণ্টায় ২২৮০৫ গাড়ি থেকে টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা২৪ ঘণ্টায় ২২৮০৫ গাড়ি থেকে টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা
তিনি জানিয়েছিলেন, শনিবার দায়িত্ব নেওয়ার আগে গোডাউন অফিসার দেখতে পান তার লকারের তালা ভাঙা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তারা ঘটনাস্থলে আসেন। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, কাস্টমসের গোডাউন থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৫০ কেজি স্বর্ণ।

উধাও হওয়া স্বর্ণগুলো ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছিলও বলে জানান ওই কাস্টমস কর্মকর্তা।