ওয়ালটন তাণ্ডবে দিশেহারা মুশফিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৮৬ Time View

স্পোর্টস ডেস্কঃ

দুই দলের সামনেই বাঁচা মরার লড়াই। জিতলে টুর্নেমেন্টে টিকে থাকবে, হারলেই বাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নামতে হয়েছে তাদের রান মেশিন উইল জ্যাকসকে ছাড়া। কিন্তু তার না থাকার আক্ষেপ মিটে যায় চ্যাডইউক ওয়ালটনের ঝড়ে। আর তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই চট্টগ্রাম পেয়ে যায় চ্যালেঞ্জ করার মতো সংগ্রহ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমেনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা-চট্টগ্রাম। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফিফ হোসেনের দল।

খুলনার বোলারদের দিশেহারা করে ওয়ালটন মাত্র ৪৪ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি করে চার-ছয়ে। ফিফটি করেছেন মাত্র ২৮ বলে।

অথচ ওয়ালটন রাউন্ড রবিন লিগের ১০ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন মাত্র চারটি। তাতে করেছেন মাত্র ৫১ রান। আর আজ ছড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ওয়ালটনের শুরুটা হয়েছিল ধীর গতির। প্রথম ১৭ বলে আসে ১১ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসানকে ফাইন লেগে চার মেরে শুরু, পরের বলে আবার তার মাথার উপর দিয়ে ছয়! মাঝে রুয়েল মিয়ার করা ১৫তম ওভারে ওয়ালটন দুই ছয়, দুই চারে নেন ২২ রান। থিসারা পেরেরার করা ১৯তম ওভারে আবার চড়াও হয় ওয়ালটনের ব্যাট। ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন ২০ রান!

ওয়ালটন-মিরাজের পঞ্চম উইকেটের জুটি থেকে ৫৮ বলে আসে ১১৫ রান। মিরাজ ৩০ বলে ৩৬ রান করে ফিরলে ইনিংসের শেষ ওভারে ভাঙে এই জুটি।

ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ম্যাচের আগে ছিটকে যান উইল জ্যাকস। তিনি না থাকায় চট্টগ্রামের ওপেনিংয়েও দেখা যায় বিবর্ণ অবস্থা। কেন্নার লুইস-জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ১২ রানে। শূন্য রানে ফেরেন জাকির। তিনে নেমে আফিফও (৩) ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর পার হওয়ার আগেই। শামীম হোসেন পাটোয়ারীও বিপদের মুহূর্তে দলের হাল ধরতে পারেনি। ৭ বলে ১০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর শুধু ওয়ালটন-মিরাজের গল্প। শেষ ওভারে মিরাজ আউট হলে ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ১ ছয়ে ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন হাওয়েল।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। বেশি খরুচে ছিলেন পেরেরা-মেহেদী। পেরেরা ৩ ওভারে ৩৮ রান দেন। মেহেদী সমান ওভারে বল করে ১ উইকেট নিয়ে দেন ৩৭ রান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ওয়ালটন তাণ্ডবে দিশেহারা মুশফিকরা

Update Time : ০২:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

দুই দলের সামনেই বাঁচা মরার লড়াই। জিতলে টুর্নেমেন্টে টিকে থাকবে, হারলেই বাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নামতে হয়েছে তাদের রান মেশিন উইল জ্যাকসকে ছাড়া। কিন্তু তার না থাকার আক্ষেপ মিটে যায় চ্যাডইউক ওয়ালটনের ঝড়ে। আর তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই চট্টগ্রাম পেয়ে যায় চ্যালেঞ্জ করার মতো সংগ্রহ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমেনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা-চট্টগ্রাম। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফিফ হোসেনের দল।

খুলনার বোলারদের দিশেহারা করে ওয়ালটন মাত্র ৪৪ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি করে চার-ছয়ে। ফিফটি করেছেন মাত্র ২৮ বলে।

অথচ ওয়ালটন রাউন্ড রবিন লিগের ১০ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন মাত্র চারটি। তাতে করেছেন মাত্র ৫১ রান। আর আজ ছড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ওয়ালটনের শুরুটা হয়েছিল ধীর গতির। প্রথম ১৭ বলে আসে ১১ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসানকে ফাইন লেগে চার মেরে শুরু, পরের বলে আবার তার মাথার উপর দিয়ে ছয়! মাঝে রুয়েল মিয়ার করা ১৫তম ওভারে ওয়ালটন দুই ছয়, দুই চারে নেন ২২ রান। থিসারা পেরেরার করা ১৯তম ওভারে আবার চড়াও হয় ওয়ালটনের ব্যাট। ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন ২০ রান!

ওয়ালটন-মিরাজের পঞ্চম উইকেটের জুটি থেকে ৫৮ বলে আসে ১১৫ রান। মিরাজ ৩০ বলে ৩৬ রান করে ফিরলে ইনিংসের শেষ ওভারে ভাঙে এই জুটি।

ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ম্যাচের আগে ছিটকে যান উইল জ্যাকস। তিনি না থাকায় চট্টগ্রামের ওপেনিংয়েও দেখা যায় বিবর্ণ অবস্থা। কেন্নার লুইস-জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ১২ রানে। শূন্য রানে ফেরেন জাকির। তিনে নেমে আফিফও (৩) ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর পার হওয়ার আগেই। শামীম হোসেন পাটোয়ারীও বিপদের মুহূর্তে দলের হাল ধরতে পারেনি। ৭ বলে ১০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর শুধু ওয়ালটন-মিরাজের গল্প। শেষ ওভারে মিরাজ আউট হলে ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ১ ছয়ে ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন হাওয়েল।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। বেশি খরুচে ছিলেন পেরেরা-মেহেদী। পেরেরা ৩ ওভারে ৩৮ রান দেন। মেহেদী সমান ওভারে বল করে ১ উইকেট নিয়ে দেন ৩৭ রান।