এটিএম শামসুজ্জামানের ইন্তেকালে সুজিত রায় নন্দীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৭২ Time View
বিডিসমাচার ডেস্ক:
একুশে পদক পাওয়া দেশবরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি সমাচার ২৪ ডটকম এর উপদেষ্টা বাবু সুজিত রায় নন্দী।
.
শনিবার এক শোক বার্তায় সাংবাদিক সুজিত রায় নন্দী বলেন, নিপুন অভিনয় দিয়ে এটিএম শামসুজ্জামান ধীরে ধীরে নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন।‘সর্বজন নন্দিত শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান তার অনন্য অভিনয়শিল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে বেঁচে থাকবেন।
.
তিনি বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
.
সুজিত রায় নন্দী জনপ্রিয় এই শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
.
রাজধানীর সূত্রাপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের নিজ বাসভবনে শামসুজ্জামানের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
.
.
এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।

২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।

এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এটিএম শামসুজ্জামানের ইন্তেকালে সুজিত রায় নন্দীর শোক

Update Time : ০৪:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
বিডিসমাচার ডেস্ক:
একুশে পদক পাওয়া দেশবরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি সমাচার ২৪ ডটকম এর উপদেষ্টা বাবু সুজিত রায় নন্দী।
.
শনিবার এক শোক বার্তায় সাংবাদিক সুজিত রায় নন্দী বলেন, নিপুন অভিনয় দিয়ে এটিএম শামসুজ্জামান ধীরে ধীরে নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন।‘সর্বজন নন্দিত শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান তার অনন্য অভিনয়শিল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে বেঁচে থাকবেন।
.
তিনি বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
.
সুজিত রায় নন্দী জনপ্রিয় এই শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
.
রাজধানীর সূত্রাপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের নিজ বাসভবনে শামসুজ্জামানের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
.
.
এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।

অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।

২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।

এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।