নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনলাইন প্লাটফর্মে মরিশাস সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু এবং বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যৌথভাবে আজ পোর্ট লুইস, মরিশাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে নামকরণকৃত রাস্তা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্ট্রিট’ এর উদ্বোধন করেন।
.
বাংলাদেশ দূতাবাস, মরিশাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। মরিশাসে বাংলাদেশ এর হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
.
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে পোর্ট লুইসে এই রাস্তার নামকরণ মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্কের নিদর্শন তৈরি করেছে।
.
মরিশাস সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, রাস্তার নামকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে মরিশাস সরকার ও জনগণ গর্বিত। এ প্রসঙ্গে তিনি মরিশাসের ধারাবাহিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
.
বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনে মরিশাস সরকার অংশগ্রহণ করায় মরিশাস সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া, মরিশাস-প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় ও মজবুত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
.
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এ সময় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। পোর্ট লুইসে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পোর্ট লুইস সিটি কাউন্সিলের লর্ড মেয়র মাহফূজ মুসা কাদেরসাইব, স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ, ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিভিল সোসাইটি, প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং বাংলাদেশ প্রান্তে সরাসরি যুক্ত হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র; পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব); বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান নির্বাহী; বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কিউরেটর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে মুজিববর্ষের লোগো সংবলিত রঙিন বেলুন অবমুক্ত করা হয়।