বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ: আসিফ নজরুল

  • Update Time : ১০:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 13

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"border":1,"resize":1,"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচারের ইস্যু আনা উচিৎ নয়। সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন বিধান করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেয়া হয়।

তবে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ায় আদালত যদি মনে করেন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কনসার্নড অথোরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়া গৃহীত হয়েছে। তবে, আমরা আইনের যে সংশোধনী করেছিলাম, এই অধ্যাদেশের আওতায় ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে তারা সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা প্রশ্ন এলে, এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এই সুযোগ দিতে চাই না। এজন্য এ বিধান বাতিল করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি আসে বা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন আছে। তাই ট্রাইব্যুনালে এ বিধান থাকছে না বলে রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকল না, এমন কিছু না, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্যান্য প্রচলিত আইনে পরে বিবেচনা করা যাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিচারের শুদ্ধতায় ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ: আসিফ নজরুল

Update Time : ১০:৪৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচারের ইস্যু আনা উচিৎ নয়। সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন বিধান করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেয়া হয়।

তবে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ায় আদালত যদি মনে করেন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কনসার্নড অথোরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়া গৃহীত হয়েছে। তবে, আমরা আইনের যে সংশোধনী করেছিলাম, এই অধ্যাদেশের আওতায় ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে তারা সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা প্রশ্ন এলে, এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এই সুযোগ দিতে চাই না। এজন্য এ বিধান বাতিল করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি আসে বা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন আছে। তাই ট্রাইব্যুনালে এ বিধান থাকছে না বলে রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকল না, এমন কিছু না, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্যান্য প্রচলিত আইনে পরে বিবেচনা করা যাবে।