কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে দিনদুপুরে দোকান দখলের অভিযোগ
- Update Time : ০২:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 43
এরফান হোছাইনঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজারে দিনদুপুরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দোকান ও জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইসলামপুরের মো. আরিফসহ ১৭ ব্যক্তি যৌথভাবে ১৭ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে ৮ টি দোকান নির্মাণ করে আট বছর ধরে শান্তপূর্ণ ভোগ দখলে ছিল। গত ৭ নভেম্বর সকালে একদল লাঠিয়াল বাহিনী হামলা চালিয়ে দোকানগুলো দখল করে নেয় এবং এসময় বাজার পাহারাদারকেও মারধর করা হয় বলে জানান উক্ত এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীরা।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তারা আইনসঙ্গতভাবে জমি ক্রয় করে দোকান নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি দল হামলা চালিয়ে তাদের দোকান দখল করে নিয়েছে।
একজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে এই জায়গায় ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ করেই এমন হামলায় আমরা অবাক হয়ে গেছি। আমাদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।”
অপরদিকে, হামলাকারী দল দাবি করছে, জমিটি তাদের নিজস্ব। তবে,তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর দাবির কোনো বৈধতা নেই। স্থানীয়রা বলছেন, দখলদাররা স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এই অবৈধ কাজ করেছে।
এছাড়া হামলা ও দখলের ঘটনাটি সত্য নয় বলে দাবী করেন অভিযুক্ত রশিদ আহম্মদ বাবুল কোম্পানি।
বাবুল আরও বলেন, দীর্ঘদিনধরে আওয়ামীলীগের প্রভাব কাটিয়ে একটি কুচক্রীমহল আমার জায়গা দখল করে ভোগদখল করে আসছিলো। নিজস্ব জায়গায় ১০ বছর আগে চারপাশে ইটের দেওয়াল নির্মাণ করে সীমানা প্রাচীর দিলেও তা মাঠি পেলে চাপা দিয়ে রাখে। আমি কারও বিন্দু পরিমাণ জায়গা দখল করিনি ও ক্ষতিও করিনি। আমি স্বৈরাচার শাসনামলে আওয়ামীলীগ দ্বারা নির্যাতিত। বর্তমান প্রশাসন ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের সরকার এরকম দখলবাজদের বিরুদ্ধে লিগাল ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে এমনটাই আশা করি।
ঈদগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন,
বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ থানায় আসলে তাদেরকে সামাজিকভাবে সমাধানের জন্যে বলেছি। এছাড়া শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
এঘটনার বিষয়ে সৈয়দ আকবর বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানালেও পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগকারী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি এখনোও। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।