শ্রীমঙ্গলে লকডাউনের প্রথম দিনে ১৭ মামলায় ১২,৮০০ টাকা জরিমানা

  • Update Time : ১০:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
  • / 219
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল লকডাউন (বিধি-নিষেধ) নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
.
মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে চলছে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউনে প্রথম দিনে শ্রীমঙ্গলে উপজেলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর প্রভাব।শহরের ব্যস্ততম সড়ক গুলো ঢিলেঢালা ভাবে চলছে লকডাউন।
.
গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে প্রশাসনের কর্ম কর্তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।তারা রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন কে কোথায় যাবেন। যথাযথ কারণ বলতে না পারলে গাড়ির আরোহী, চালক ও পথচারীদের গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
.
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পর থেকে কালীঘাট রোড মোড় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দেখা গেছে কিছু কিছু অসচেতনতা লক্ষ্যে করা গেছে। তার মধ্যে ১৭ ব্যাক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানকে ১২,৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে আবার শুরু হয়েছে বিধি-নিষেধের লকডাউন। এই লকডাউনে  জরুরি সেবা ছাড়া অফিস-গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
.
No description available.

.

চলাচলে বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছেন সিভিল প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই লকডাউনে রাস্তায় বেরোলেই পুলিশ জানতে চাইছে ‘মুভমেন্ট পাস’ সঙ্গে আছে কিনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছে কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছে। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ।
.
অপর দিকে শহরের বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাবসায়ীরা দোকান পাট খুলে বেঁচা-কেনা করছে। তবে বাজারে কিছু অসংগতির জন্য ক্রেতাদের উপস্থিতি কম রয়েছে।
.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল নির্বাহী কর্মকর্তা  নজরুল ইসলাম বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রাম গঞ্জেও ভ্রাম্যমাণ আদালত, টহল পুলিশ সামাজিক সচেতনতায় কাজ করছে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে হাট-বাজারগুলো ফাঁকা যায়গায় স্থানান্তর করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media


শ্রীমঙ্গলে লকডাউনের প্রথম দিনে ১৭ মামলায় ১২,৮০০ টাকা জরিমানা

Update Time : ১০:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল লকডাউন (বিধি-নিষেধ) নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
.
মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে চলছে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউনে প্রথম দিনে শ্রীমঙ্গলে উপজেলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর প্রভাব।শহরের ব্যস্ততম সড়ক গুলো ঢিলেঢালা ভাবে চলছে লকডাউন।
.
গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে প্রশাসনের কর্ম কর্তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।তারা রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন কে কোথায় যাবেন। যথাযথ কারণ বলতে না পারলে গাড়ির আরোহী, চালক ও পথচারীদের গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
.
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পর থেকে কালীঘাট রোড মোড় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দেখা গেছে কিছু কিছু অসচেতনতা লক্ষ্যে করা গেছে। তার মধ্যে ১৭ ব্যাক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানকে ১২,৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে আবার শুরু হয়েছে বিধি-নিষেধের লকডাউন। এই লকডাউনে  জরুরি সেবা ছাড়া অফিস-গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
.
No description available.

.

চলাচলে বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছেন সিভিল প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই লকডাউনে রাস্তায় বেরোলেই পুলিশ জানতে চাইছে ‘মুভমেন্ট পাস’ সঙ্গে আছে কিনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছে কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছে। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ।
.
অপর দিকে শহরের বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাবসায়ীরা দোকান পাট খুলে বেঁচা-কেনা করছে। তবে বাজারে কিছু অসংগতির জন্য ক্রেতাদের উপস্থিতি কম রয়েছে।
.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল নির্বাহী কর্মকর্তা  নজরুল ইসলাম বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রাম গঞ্জেও ভ্রাম্যমাণ আদালত, টহল পুলিশ সামাজিক সচেতনতায় কাজ করছে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে হাট-বাজারগুলো ফাঁকা যায়গায় স্থানান্তর করা হবে।