ম্যাচ সেরার অর্থ মাঠকর্মীদের দিলেন সিরাজ
- Update Time : ০৮:৪১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 159
স্পোর্টস ডেস্ক
শুরুটা করেছিলেন বুমরাহ। মাঝে রীতিমতো আগুনে বোলিংয়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং দেয়াল ধসে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের তাণ্ডবে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। হেসেখেলেই ম্যাচ জিতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে রোহিত শর্মার দল। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে সিরাজের হাতে। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারের যে অর্থ তা সিরাজ নিজে না নিয়ে দান করে দিলেন।
মাঠে ভারতের হয়ে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। সিরাজের গতিতেই ধরাশায়ী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে তারা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সিরাজ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে ৫০০০ ডলার বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে পুরস্কারের সেই টাকা পুরোটাই ফিরিয়ে দিয়েছেন সিরাজ। কলম্বোর মাঠকর্মীদের সেই টাকা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় এই বোলারের মতে, মাঠকর্মীদের জন্যই বৃষ্টির মধ্যেই খেলা সম্ভব হয়েছে। তাই নিজের পুরস্কার মূল্য তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সিরাজ।
ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে শেষে সিরাজ বলেন, ‘এই পুরস্কার কলম্বোর মাঠকর্মীদের প্রাপ্য। ওরা না থাকলে এই ম্যাচ আয়োজন করাই যেত না। তাই এই টাকা আমি ওদের হাতে তুলে দিতে চাই।’
ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ সিরাজ নতুন বলেই বল করেন। কিন্তু সাধারণত ক্রস সিম (বলের সিমের সঙ্গে আঙুল থাকে আড়াআড়ি) ধরে বল করেন তিনি। ফলে পিচে বল সিমে পড়ে না। ক্রস সিমে বল করলে পিচে পড়ে কোনও বল লাফিয়ে ওঠে। আবার কোনও বল একটু নিচের দিকে থাকে। এভাবে বল ধরলে সাধারণত ইনসুইং বেশি হয়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের সিম বদলে ফেলেছিলেন সিরাজ। ভারতীয় পেসার বলেন, ‘আমি সাধারণত ক্রস সিমে বল করি। কিন্তু এই ম্যাচে সিম ধরে বল করছিলাম। তাই ইনসুইংয়ের থেকে আউটসুইং বেশি হচ্ছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছে। বেশির ভাগ ব্যাটার আউটসুইংয়ে আউট হয়েছে। আমার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’
ব্যাটারদের পায়ের কাছে বল করেছেন সিরাজ। খেলতে বাধ্য করেছেন। যে লেংথে সিরাজ বলে করেছেন সেই লেংথ থেকে ব্যাটারদের শট খেলতে সুবিধা হয়। কিন্তু সেই লেংথে বল করেই সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় পেসার।
এ প্রসঙ্গে সিরাজ বলেন, ‘উইকেট থেকেই সব হচ্ছিল। বল সুইং করছিল। তাই আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করার চেষ্টা করেছি। তার পরে বাকি কাজ পিচ করেছে। ব্যাটারদের খেলানোর চেষ্টা করেছি। তাতেই সফল হয়েছি।’