২১১ রানে এগিয়ে থেকেও স্বস্তিতে নেই প্রোটিয়ারা
- Update Time : ০৭:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 154
স্পোর্টস ডেস্কঃ
কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি, নীল ওয়াগনার ও ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে দলটি নেই স্বস্তিতে। তৃতীয় দিন শেষে যদিও তারা লিড পেয়েছে ২১১ রানের।
তৃতীয় দিনে রোববার ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়াইটা করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তিনি করেন ১৫৮ বলে ১২০ রান। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।
৭১ রানে এগিয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসটা (প্রথম ইনিংসে ৩৬৪) খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৪০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে দিনে শেষে করে তারা। সব মিলিয়ে তাই তাদের লিড এখন ২১১।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক তুলে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ওপেনার সারেল এরউয়ি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ। তিনি ফিরেছেন দলীয় ১২ রানের সময। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি। ২৩ রানের মাথায় ফেরেন ডিন এলগার। তিনিও সাউদির বলে আউট। এদিকে এইডেন মার্করামও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ১৪ রান করে হেনরির শিকার হয়ে ফেরেন।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন চা–বিরতির পর ফন ডার ডুসেন আর টেম্বা বাভুমার ওপরই দক্ষিণ আফ্রিকার বড় ভরসা ছিল। কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ডুসেন ফিরেছেন ৪৫ রানে ওয়াগনরের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে। বাভুমা ২৩ রান করে ফেরেন ওয়াগনরের বলে, সাউদির ক্যাচ হয়ে। এ দুজন অবশ্য ১০২ বলে ৬৫ রানের একটা জুটি দাঁড় করিয়েছিলেন। দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ২১১ রানে।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ রানে ওয়ানগার ২টি ও টিম সাউদি ২৮ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। আর হেনরি তুলে নেন ১টি উইকেট ২৫ রানের বিনিময়ে।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের মুখরক্ষা হয় গ্র্যান্ডহোম আর ড্যারিল মিচেলের এক জুটিতে। তারা ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। তার আগে তারা ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পড়েছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। তবে গ্র্যান্ডহোম আর মিচেলের জুটিই নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ মোটামুটি ভালো একটা জায়গায় নিয়ে যান। গ্র্যান্ডহোম ১৫৮ বলে ১২০ করেন। তার ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। মিচেল খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। ১৩৪ বলে। মেরেছেন ৮টি বাউন্ডারি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন ৫ উইকেট। মার্কো ইয়ানসেনও নিয়েছেন ৪ উইকেট। স্পিনার কেশব মহারাজ পেয়েছেন ১ উইকেট।