২০ জেলা থেকেই এল ২ শতাধিক মৃত্যুর খবর

  • Update Time : ০৩:৪১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • / 180

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রাজধানী বাদে সারা দেশে মারা গেছেন ২০৬ জন। তবে কোনোভাবেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। ২৪ ঘণ্টায় মারা দেশের ২০ জেলায় মারা গেছেন ২০২ জন।

লাগামহীন করোনার ভয়াবহ থাবায় বিপর্যস্ত বেশিরভাগ জেলা। হাসপাতালগুলোতে চরম শয্যা ও অক্সিজেন সংকট। এতে রোগীদের নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়েও মারা যাচ্ছেন অনেকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে একক জেলা হিসেবে কুষ্টিয়ায়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ফরিদপুরে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ।

খুলনা: খুলনা‌র চারটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে খুলনার ১৫ জন, যশোরের ৪ জন, নড়াইল ও বাগেরহাটের ২ জন করে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ২২ জন মারা গেছেন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২২০ জন।

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ৬ জন এবং কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন করে। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।

বগুড়া: উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বগুড়ার তিনটি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন । শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন করে মারা গেছেন ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও যশোরে। ফরিদপুরে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। ঝিনাইদহে ১৩ জন ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। চট্টগ্রামে দুই হাজার ১০০ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৭৫৪ জন।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে ৮ জন করে, সিলেটে ৬ জন, নওগাঁয় ৩ জন, টাঙ্গাইলে ও মেহেরপুরে ৫ জন করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীতে ৪ জন করে, আর ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন মারা গেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media


২০ জেলা থেকেই এল ২ শতাধিক মৃত্যুর খবর

Update Time : ০৩:৪১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রাজধানী বাদে সারা দেশে মারা গেছেন ২০৬ জন। তবে কোনোভাবেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। ২৪ ঘণ্টায় মারা দেশের ২০ জেলায় মারা গেছেন ২০২ জন।

লাগামহীন করোনার ভয়াবহ থাবায় বিপর্যস্ত বেশিরভাগ জেলা। হাসপাতালগুলোতে চরম শয্যা ও অক্সিজেন সংকট। এতে রোগীদের নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়েও মারা যাচ্ছেন অনেকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে একক জেলা হিসেবে কুষ্টিয়ায়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ফরিদপুরে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ।

খুলনা: খুলনা‌র চারটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে খুলনার ১৫ জন, যশোরের ৪ জন, নড়াইল ও বাগেরহাটের ২ জন করে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ২২ জন মারা গেছেন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২২০ জন।

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ৬ জন এবং কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন করে। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।

বগুড়া: উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বগুড়ার তিনটি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন । শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন করে মারা গেছেন ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও যশোরে। ফরিদপুরে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। ঝিনাইদহে ১৩ জন ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। চট্টগ্রামে দুই হাজার ১০০ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৭৫৪ জন।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে ৮ জন করে, সিলেটে ৬ জন, নওগাঁয় ৩ জন, টাঙ্গাইলে ও মেহেরপুরে ৫ জন করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীতে ৪ জন করে, আর ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন মারা গেছেন।