বেনাপোলে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
- Update Time : ০৯:২৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 29
মো. সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী(বিএনপি)’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, তরিকুল ইসলাম এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বেনাপোলে “আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল” অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার(৮ নভেম্বর/২০২৪) ইং তারিখ সন্ধ্যায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে, ৬নং ভবারবেড় ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে উক্ত “আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন-আব্বাস আলী(৬নং ভবারবেড় ওয়ার্ড বিএনপি)
অনুষ্ঠানটি’র সঞ্চালনায় ছিলেন-খায়রুল ইসলাম মনা(সাংগঠনিক সম্পাদক,৬নং ভবারবেড় ওয়ার্ড বিএনপি)।
শোকসভার আলোচনায় অংশ নেন-বেনাপোল পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতি’র সভাপতি-মো.আতিকুজ্জামান সনি,পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক-আবু তাহের ভারত,সাংগঠনিকসম্পাদক-
আক্তারুজ্জামান,পৌর যুবদল সভাপতি-মফিজুর রহমান বাবু,পৌর কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি-হাসান ইমাম,৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি-মাসুদুর রহমান কাক্কু। এ ছাড়াও ঐ ওয়ার্ডের বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
শোক স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন-
“তরিকুল ইসলাম ছিলেন দেশের দক্ষিণ বঙ্গের লৌহ মানব, তিনি কখনো নিজের কথা ভাবেননি, সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন, তিনি ছিলেন যশোর জেলার উন্নয়নের কারিগর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী(বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা-শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তাঁকে খুলনা বিভাগের বিএনপি’র দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে তিনি বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। তাঁর কারণে দক্ষিণ বঙ্গে বিএনপি একটি শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছিল। তিনি ছিলেন দক্ষ রাজনীতিবীদ, বাংলাদেশ সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রী,পাশাপাশি সাংবাদিকতার জগতে তার বিচরণ রয়েছে। যশোর থেকে প্রকাশিত,বহুল প্রচারিত “দৈনিক লোকসমাজ” পত্রিকার একজন সফল প্রকাশক ছিলেন তিনি”।
উল্লেখ্য,প্রয়াত তরিকুল ইসলাম এর জন্ম যশোর জেলার পৌরসভাধীন ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে। তার জন্ম
১৬ নভেম্বর ১৯৪৬ ইং, মৃত্যু- ৪ নভেম্বর ২০১৮ইং)।
ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। যশোর উন্নয়নের কারিগর রাজনীতিক এই মানুষটি নানা অত্যাচার, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করলেও কখনো পিছু হটেননি। সে কারণে তাকে যশোর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজনীতির ‘লৌহমানব’ হিসেবেও ডাকা হয়। সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিবিড়। যে কারণে তিনি ছাত্র সংসদ থেকে দেশের মন্ত্রী পরিষদে স্থান লাভ করেছিলেন। ছিলেন যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান। এছাড়া, একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও তরিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রয়াত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যশোর জেলা-উপজেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে শোক কর্মসূচি পালণ করা হচ্ছে।
মরহুম তরিকুল ইসলামের পিতা আব্দুল আজিজ ছিলেন ব্যবসায়ী ও মা মোসাম্মদ নূরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিনী। বড় ছেলে শান্তনু ইসলাম সুমিত ব্যবসায়ী। তিনি বর্তমানে পিতার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতও পিতার আদর্শ অনুসরণ করে হয়ে উঠেছেন দক্ষ রাজনীতিক।
অমিত বর্তমানে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনকি সম্পাদক। মরহুম তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম ছিলেন যশোর সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক উপাধ্যক্ষ। অধ্যাপক নার্গিস বেগম বর্তমানে যশোর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।