কুমিল্লা নগরীতে বৃষ্টির পানি বাসাবাড়িতে, দুর্ভোগে নগরবাসী

  • Update Time : ০৬:২১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / 49

#বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতা থাকবে-কুসিক নির্বাহী

#পানি কমা শুরু করেছে-আবহাওয়া অধিদপ্তর

#বন্যার দিকে ঝুঁকলে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত আছে- জেলা প্রশাসক

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।। 

কুমিল্লা নগরীতে বৃষ্টির পানি এখন বিভিন্ন বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে। এখনো ড্রেনের ময়লা পানি ও  হাঁটুসমান পানি রয়েছে বাসাবাড়িতে। মেঝেতে থিকথিকে ড্রেনের ময়লা। কয়েকটা ইট বিছিয়ে পা ফেলার ব্যবস্থা করছিলেন সাবিকুন নাহার (২২)। ২ দিনেও পানি না সরায় বাসায় তালা মেরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আছে।

সাবিকুন নাহারের ভাড়া বাসা ৩ তলা ভবন হলেও তিনি থাকেন নিচতলায়। বললেন, বৃষ্টির পানি দুইদিন ধরে তাঁর ঘরে। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। পানি কিছুটা নামলেও ঘরের ভেতর ময়লা কাদার কারণে হাঁটা দায়। তাই ইট বিছিয়েছেন মেঝেতে। বালু ফেলতে হবে। পানি বাসায় থাকায় চিন্তায় এখন দিশেহারা তাঁরা।

 মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর প্রায় বাসাবাড়ির নিচ তলায় পানি জমে আছে।

নগরীর আশরাফপুর গিয়ে কথা হয় সেলিনা নামে এক শিক্ষিকার সাথে। তিনি বলেন, কিভাবে এ শহরে থাকি তা আমরা জানি। একসময় থাকে জ্যাম আর এখন বৃষ্টির পানি আমার নিচ তলায় ঢুকছে। কিভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকি তস আমি জানি। যা কত কষ্ট। এখন আবার ভয় লাগছে ঘরে যদি এখন সাপ ঢুকে। প্রতিটি ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। পানি সরছেনা।

সেলিনার প্রতিবেশী শফিক (৩৫) জানালেন, বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতর প্রবেশ করায় পাশের বিল্ডিং এ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গুলো নিয়ে গেছি।কীভাবে কী করবো বুঝে উঠতে পারছেন না। শফিক বলেন, কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশন এলাকায় এই বৃষ্টির সময় পানি জমে থাকাটা নতুন নয়। এটা এখন পুরাতন হয়ে গেছে। এ সমস্যা থেকে কেউ আমাদের মুক্ত করতে পারেনি।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, মেঘমালা ৬৮ মিলিঃ সৃষ্টি হওয়াই আগামী ৭২ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবুও কমার সম্ভাবনা আছে। যেমন আজকে বৃষ্টি কম ছিলো। তবে পানি ধীরে নামায় মানুষজন রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ছামছুল আলম জানান, বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবেই।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিক বলেন, শুধু কুমিল্লা নগরে নয়, জেলার সব উপজেলায় পানির সমস্যায় পড়েছে। বন্যার দিকে ঝুঁকলে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লা নগরীতে বৃষ্টির পানি বাসাবাড়িতে, দুর্ভোগে নগরবাসী

Update Time : ০৬:২১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

#বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতা থাকবে-কুসিক নির্বাহী

#পানি কমা শুরু করেছে-আবহাওয়া অধিদপ্তর

#বন্যার দিকে ঝুঁকলে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত আছে- জেলা প্রশাসক

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।। 

কুমিল্লা নগরীতে বৃষ্টির পানি এখন বিভিন্ন বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে। এখনো ড্রেনের ময়লা পানি ও  হাঁটুসমান পানি রয়েছে বাসাবাড়িতে। মেঝেতে থিকথিকে ড্রেনের ময়লা। কয়েকটা ইট বিছিয়ে পা ফেলার ব্যবস্থা করছিলেন সাবিকুন নাহার (২২)। ২ দিনেও পানি না সরায় বাসায় তালা মেরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আছে।

সাবিকুন নাহারের ভাড়া বাসা ৩ তলা ভবন হলেও তিনি থাকেন নিচতলায়। বললেন, বৃষ্টির পানি দুইদিন ধরে তাঁর ঘরে। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। পানি কিছুটা নামলেও ঘরের ভেতর ময়লা কাদার কারণে হাঁটা দায়। তাই ইট বিছিয়েছেন মেঝেতে। বালু ফেলতে হবে। পানি বাসায় থাকায় চিন্তায় এখন দিশেহারা তাঁরা।

 মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর প্রায় বাসাবাড়ির নিচ তলায় পানি জমে আছে।

নগরীর আশরাফপুর গিয়ে কথা হয় সেলিনা নামে এক শিক্ষিকার সাথে। তিনি বলেন, কিভাবে এ শহরে থাকি তা আমরা জানি। একসময় থাকে জ্যাম আর এখন বৃষ্টির পানি আমার নিচ তলায় ঢুকছে। কিভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকি তস আমি জানি। যা কত কষ্ট। এখন আবার ভয় লাগছে ঘরে যদি এখন সাপ ঢুকে। প্রতিটি ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। পানি সরছেনা।

সেলিনার প্রতিবেশী শফিক (৩৫) জানালেন, বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতর প্রবেশ করায় পাশের বিল্ডিং এ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল গুলো নিয়ে গেছি।কীভাবে কী করবো বুঝে উঠতে পারছেন না। শফিক বলেন, কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশন এলাকায় এই বৃষ্টির সময় পানি জমে থাকাটা নতুন নয়। এটা এখন পুরাতন হয়ে গেছে। এ সমস্যা থেকে কেউ আমাদের মুক্ত করতে পারেনি।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, মেঘমালা ৬৮ মিলিঃ সৃষ্টি হওয়াই আগামী ৭২ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবুও কমার সম্ভাবনা আছে। যেমন আজকে বৃষ্টি কম ছিলো। তবে পানি ধীরে নামায় মানুষজন রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ছামছুল আলম জানান, বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবেই।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিক বলেন, শুধু কুমিল্লা নগরে নয়, জেলার সব উপজেলায় পানির সমস্যায় পড়েছে। বন্যার দিকে ঝুঁকলে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।