হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ নিহত

  • Update Time : ০৭:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / 35

সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আজ রোববার সারা দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে বহু হতাহতের খবর আসছে।

এর মধ্যে বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় সন্ত্রাসী হামলায় এই পুলিশ সদস্যদের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস অ্যান্ড ক্রাইম) বিজয় বসাক বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা থানায় গিয়ে ১১টি লাশ পেয়েছেন। এর মধ্যে আটটি লাশ মসজিদের পাশে স্তূপ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনটি লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ।

ঘটনা সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দলবেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে যায়। পরে কয়েক শ মানুষ অতর্কিতে থানায় এসে হামলা চালায়। তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত ১১–১২ জন পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ নিহত

Update Time : ০৭:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আজ রোববার সারা দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে বহু হতাহতের খবর আসছে।

এর মধ্যে বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় সন্ত্রাসী হামলায় এই পুলিশ সদস্যদের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস অ্যান্ড ক্রাইম) বিজয় বসাক বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা থানায় গিয়ে ১১টি লাশ পেয়েছেন। এর মধ্যে আটটি লাশ মসজিদের পাশে স্তূপ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনটি লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ।

ঘটনা সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দলবেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে যায়। পরে কয়েক শ মানুষ অতর্কিতে থানায় এসে হামলা চালায়। তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত ১১–১২ জন পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।