কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন

  • Update Time : ১১:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / 64

জেলা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। সকাল ৯ টার দিকে নগরীর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাস প্রতীকের সমর্থকরা সকাল ৭ টা থেকেই আমার নির্বাচনী এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি, বের করে দিচ্ছে। ভোটারদেরকে মারধর করা হচ্ছে। নারী ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
প্রার্থী আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের আশপাশের মোড়গুলোতে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। তারা চিহ্নিত ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়ী-বাড়ী গিয়ে হামলা করেছে।’

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো দেখবে।’

এ উপনির্বাচনে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে পুরোপুরি ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এবার দলীয় কোনো প্রতীক না থাকায় সরকারদলীয় দুইজন ও বিএনপির বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ মোট চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লা শহরই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। কোনো অনিয়মের চেষ্টা চালানো হলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে ইমেজ সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর।

কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম থাকবে। এছাড়া নিয়োজিত থাকবে র‌্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য।

নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি ছাড়াও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুইটি রিজার্ভ টিম দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে র‍্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি।

এই সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী- তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু’জন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন

Update Time : ১১:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। সকাল ৯ টার দিকে নগরীর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাস প্রতীকের সমর্থকরা সকাল ৭ টা থেকেই আমার নির্বাচনী এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি, বের করে দিচ্ছে। ভোটারদেরকে মারধর করা হচ্ছে। নারী ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
প্রার্থী আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের আশপাশের মোড়গুলোতে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। তারা চিহ্নিত ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়ী-বাড়ী গিয়ে হামলা করেছে।’

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো দেখবে।’

এ উপনির্বাচনে মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে পুরোপুরি ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এবার দলীয় কোনো প্রতীক না থাকায় সরকারদলীয় দুইজন ও বিএনপির বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ মোট চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লা শহরই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। কোনো অনিয়মের চেষ্টা চালানো হলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে ইমেজ সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর।

কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম থাকবে। এছাড়া নিয়োজিত থাকবে র‌্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য।

নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি ছাড়াও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুইটি রিজার্ভ টিম দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে র‍্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি।

এই সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী- তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু’জন।