সংরক্ষিত আসনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা
- Update Time : ০১:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 63
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং নানান আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পুরোদমে চলছে সংসদের কার্যক্রম। দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৩ টি আসনে জয়লাভ করেছেন। ফলে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ ৩৮ টি আসনে মনোনয়ন দিতে পারবেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২ আসনে। সে হিসেবে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জনের মনোনয়ন দিতে পারবেন।
তবে গত সপ্তাহে স্বতন্ত্র জয়ীরা গণভবনে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ১০ জন মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে ক্ষমতা অর্পন করেন। তারই আলোকে আওয়ামী লীগ মোট ৪৮ জন মনোনয়ন দিবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ২ জনকে মনোনয়ন দিতে পারবে।
এসব বিষয়কে সামনে রেখে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে যোগ্যপ্রার্থীদের নাম সামনে আসছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের জন্য ত্যাগ আছে, পরিক্ষিত প্রার্থীরা মনোনয়নে অগ্রাধিকার পাবেন।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেবো। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেবো।’
নারী আসনে মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বরাবরের মতো দেশ, রাজনীতি ও আওয়ামী লীগে অসামান্য অবদান রাখা পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রথিতযশা নারীদের আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
এসব বিবেচেনায় প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। যখন আওয়ামীলীগের নাম কেউ মুখে নিত না। তখন গৌরবের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মর্যাদা তুলে ধরতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। আইনজীবি সমিতির একাধিক সদস্য বলেন, জেসমিন সুলতানা সংসদ সদস্য হলে যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেসমনি সুলতানা বলেন, আমি যদি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হতে পারি, আইন প্রণয়নে ভালো ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভিশন- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করব।’
এ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) মান্দার তলী গ্রামে স্বনামধন্য মীর পরিবারে আমার জন্ম। বাবা মীর মোঃ সোলায়মান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে বার্মা থেকে জয়ী হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কাস্টমস অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
তার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার। বড় ভাই সৈয়দ মহিউদ্দীন আহমেদ ১৯৬৯ থেকে অবিভক্ত মতলব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। যুদ্ধশেষে দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি মিলিটারি একাউন্টসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সনে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দ্বিতীয় ভাই ডাঃ মীর আব্দুল্লাহ , চাচা মীর জালাল আহমেদ আগরতলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। আমার ভাই ২০১৯ সনে মৃত্যুবরন করেন। ছোট ভাই মীর সাইফুল্লাহ -আল -খালেদ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন ব্যক্তিত্ব।
তিনি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন এল,পি আর এ যাওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দুবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিলেন।
এ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) মান্দার তলী গ্রামে স্বনামধন্য মীর পরিবারে আমার জন্ম। বাবা মীর মোঃ সোলায়মান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে বার্মা থেকে জয়ী হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কাস্টমস অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
তার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার। বড় ভাই সৈয়দ মহিউদ্দীন আহমেদ ১৯৬৯ থেকে অবিভক্ত মতলব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। যুদ্ধশেষে দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি মিলিটারি একাউন্টসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সনে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দ্বিতীয় ভাই ডাঃ মীর আব্দুল্লাহ , চাচা মীর জালাল আহমেদ আগরতলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। আমার ভাই ২০১৯ সনে মৃত্যুবরন করেন। ছোট ভাই মীর সাইফুল্লাহ -আল -খালেদ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন ব্যক্তিত্ব।
তিনি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন এল,পি আর এ যাওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দুবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তার চাচা ডাঃ মীর মোহাম্মদ আলী ১৯৭০ সনে অবিভক্ত মতলব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার।
জেসমিন সুলতানা একজন আইনজীবী হিসাবে ১৯৯৪ সন থেকে এই মহান পেশার সাথে সম্পৃক্ত হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন অকুতভয় সৈনিক হিসাবে নিজেকে তৈরী করার প্রচেষ্টায় সদা জাগ্রত তিনি। পেশাগত জীবনে প্রতিটি নির্বাচনে,আন্দোলনে সংগ্রামে,মানববন্ধনে সব আইনজীবীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে নারীদেরকেও সংগঠিত করে আসছেন তিনি।
১৯৯৬ সালে কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে নারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। নারীদের নিয়ে দলীয় মিছিল মিটিং সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে ১৯৯৬ সাল থেকে নারী সমাজের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় ও জনমত গঠনের মাধ্যমে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতিতে এদেশের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সংযুক্ত থেকেছেন।
বর্তমানেও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাথে নিজেকে যুক্ত রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি।
২০০০ সনে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য পদ লাভের পর অ্যডভোকেট সাহারা খাতুনের সংস্পর্শে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেন তিনি। অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে সমস্ত আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন সেসময়।
২০০৬ সনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সুপ্রীম কোর্ট শাখার সহ-সভাপতি মনোনীত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক এগারোর তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৬ জুলাই ২০০৭ সালে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাঁকে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৭ সালের ওই দিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করেন।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে নিয়ে যান। সেদিন আদালত শেখ হাসিনার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঐদিন আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায়।
বিশেষ জজ আদালতে মামলা পরিচলনা টিমের সাথে কাজ করেন জেসমিন সুলতানা। একাত্ম থেকে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলাগুলোতে সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জনাব ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যার ও ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের সাথে থেকে প্রতিটি মামলায় অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে সারা বাংলাদেশের নারী আইনজীবীদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার দীক্ষা দেন এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আওয়ামী ভাবাদর্শে উজ্জীবিত করেন।
২০১১ সনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে মনোনয়ন নিয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করেন তিনি। ২০১৭ সনে তৎকালীন নবগঠিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির একজন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। দলীয় নেতৃবৃন্দের মামলা,খালেদা জিয়ার মামলার বিরোধিতা, যেকোন সংগ্রামে, আন্দোলনে, নির্বাচনী কার্যক্রমে অনলাইনে, শারীরিক উপিস্থিতিতে সবাইকে একই পতাকা তলে এনে সমবেত করেন তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে বি.এন.পি জামাতের আইনজীবীদের চলমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে সামনের সারিতে থেকে আইনজীবীদের সংগঠিত করে বিএনপি জামাতের আইনজীবীদের সহিংসতা প্রতিহত করছি কঠোরভাবে। সুপ্রীম কোর্ট বারে আওয়ামী রাজনীতির আধিপত্য রক্ষায় সোচ্চার থাকছি দিবা-রাত্রি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে অন-লাইনে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সব সময় সরব ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি। বি.এন.পি জামাতের গুজব ও তাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচার প্রপাগান্ডার বিপরীতে
প্রতিবাদ মূলক লিখা ও কমেন্ট উপস্থাপন করেন নিয়মিত। আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় অনলাইন এ্যাক্টিভিষ্ট হিসাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
তাঁর সহকর্মী আইনজীবিগণ চায় তাদের “জেসমিন আপা” সংসদ সদস্য হয়ে তাদের ও দলের পাশে থেকে আরও ব্যাপক পরিসরে ভূমিকা রাখবেন। সেজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সহকর্মীকে মনোনয়ন দিবেন বলে তারা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।