গাইবান্ধা-১ জাসদের প্রার্থীসহ জামানত খোয়ালেন ৮ জন

  • Update Time : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 100

এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জাসদের প্রার্থীসহ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এ আসনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯২ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ৫১১ ভোটের।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩১ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার হাতঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৯২ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম ছড়ি প্রতীকে ১২০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মর্জিনা খান আম প্রতীকে ২৭০, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক গামছা প্রতীকে ৭৬৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ফকরুল হাসান ডাব প্রতীকে ৮২৪, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র ওমর ফারুক সিজার টেলিভিশন প্রতীকে ৬৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল আবেদীন ৩২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ফলে গাইবান্ধা-১ আসনে ৮ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।’

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, এ আসনে ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা। গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ লাখ ৪৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫১ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ০৯২ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন ভোটার রয়েছেন। আসনটির ১১৪ ভোটকেন্দ্রের ৮৪৬ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাইবান্ধা-১ জাসদের প্রার্থীসহ জামানত খোয়ালেন ৮ জন

Update Time : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জাসদের প্রার্থীসহ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এ আসনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯২ ভোট কাস্টিং হয়েছে। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ৫১১ ভোটের।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩১ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার হাতঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৯২ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম ছড়ি প্রতীকে ১২০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মর্জিনা খান আম প্রতীকে ২৭০, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আবু বক্কর সিদ্দিক গামছা প্রতীকে ৭৬৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ফকরুল হাসান ডাব প্রতীকে ৮২৪, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র ওমর ফারুক সিজার টেলিভিশন প্রতীকে ৬৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল আবেদীন ৩২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ফলে গাইবান্ধা-১ আসনে ৮ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।’

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, এ আসনে ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা। গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ লাখ ৪৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫১ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ০৯২ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন ভোটার রয়েছেন। আসনটির ১১৪ ভোটকেন্দ্রের ৮৪৬ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।