জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কুরআন মাদরাসার ৪ শিক্ষার্থী হাফেজা হলো ৭৮ দিনে

  • Update Time : ১১:২০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 317

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

স্বল্পসময়ের মধ্যে পুরো কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করে রেকর্ড গড়লেন কুমিল্লার চার মেধাবী ছাত্রী।তারা মাত্র ৭৮ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন।তারা কুমিল্লা দেবিদ্বারের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী।এই ছাত্রী চার জনই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও শিক্ষার্থী হিসেবে অসম্ভব মেধাবী।বিস্ময় শিক্ষার্থীরা হলো-বি পাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার মৃত ইদন মিয়ার মেয়ে ইসরাত জাহান স্বর্ণা(৯),দেবিদ্বার উপজেলার হেতিমপুর এলাকার লিটন মিয়ার মেয়ে ইফরাত আক্তার(৯),বি পাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার(১১),দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদের আবু তাহেরের মেয়ে হালিমা আক্তার(১২)।

এতো কম সময়ে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে সার্বক্ষণিক যার তত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি আবু বকর আল মাদানী।এই প্রতিষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারিতে এই চার শিক্ষার্থীকে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের বিশিষ্ট আলেমগণের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন বলে জানান।

জানা যায়, মাত্র ৭৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ করে এই শিক্ষার্থীরা ‘হাফেজা’ খেতাব অর্জন করেছে।জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুরআন মাদ্রাসায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর পাঁচ জন শিশু শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়েছেন।

ক্ষুদে হাফেজার গর্বিত মাতা রুজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে কোরআনের হাফেজা বানানোর। মহান আল্লাহু তা’য়ালা আমার সেই আশা পূরণ করেছেন।এই গর্বিত শিক্ষার্থীদের পরিবারের ইচ্ছা তারা যেন বড় হয়ে আলেমা হয়’।মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষিকা হাফেজা মাকসুদা আক্তার বলেন, ‘মেয়ে চারটির স্বভাব চরিত্র খুব ভালো এবং নম্র ভদ্র। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি এদেরকে দ্বীনের খাদেম হিসেবে যেন কবুল করেন’।

অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করা প্রসঙ্গে মুফতি আবু বকর আল মাদানী বলেন, ‘দেড় বছর আগে সকল শিক্ষার্থীদের মতো এরাও আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়।তাদের মেধায় ও হাফেজা মাকসুদা আক্তারের তত্বাবধানে মাত্র ৭৮ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্ত সম্পন্ন করে’।পবিত্র কোরআন শুধু আল্লাহতায়ালার প্রেরিত একটি গ্রন্থ নয়, বরং এটা একটা বড় নির্দশনও বটে।কোরআন সংরক্ষণের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে মানুষের মাধ্যমে কোরআন মুখস্থ করা।যাকে আমরা হিফজ বলি।আমাদের প্রত্যাশা আল্লাহতায়ালা তাদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল করবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কুরআন মাদরাসার ৪ শিক্ষার্থী হাফেজা হলো ৭৮ দিনে

Update Time : ১১:২০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

স্বল্পসময়ের মধ্যে পুরো কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করে রেকর্ড গড়লেন কুমিল্লার চার মেধাবী ছাত্রী।তারা মাত্র ৭৮ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন।তারা কুমিল্লা দেবিদ্বারের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী।এই ছাত্রী চার জনই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও শিক্ষার্থী হিসেবে অসম্ভব মেধাবী।বিস্ময় শিক্ষার্থীরা হলো-বি পাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার মৃত ইদন মিয়ার মেয়ে ইসরাত জাহান স্বর্ণা(৯),দেবিদ্বার উপজেলার হেতিমপুর এলাকার লিটন মিয়ার মেয়ে ইফরাত আক্তার(৯),বি পাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার(১১),দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদের আবু তাহেরের মেয়ে হালিমা আক্তার(১২)।

এতো কম সময়ে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে সার্বক্ষণিক যার তত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি আবু বকর আল মাদানী।এই প্রতিষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারিতে এই চার শিক্ষার্থীকে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের বিশিষ্ট আলেমগণের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন বলে জানান।

জানা যায়, মাত্র ৭৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ করে এই শিক্ষার্থীরা ‘হাফেজা’ খেতাব অর্জন করেছে।জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুরআন মাদ্রাসায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর পাঁচ জন শিশু শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়েছেন।

ক্ষুদে হাফেজার গর্বিত মাতা রুজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে কোরআনের হাফেজা বানানোর। মহান আল্লাহু তা’য়ালা আমার সেই আশা পূরণ করেছেন।এই গর্বিত শিক্ষার্থীদের পরিবারের ইচ্ছা তারা যেন বড় হয়ে আলেমা হয়’।মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষিকা হাফেজা মাকসুদা আক্তার বলেন, ‘মেয়ে চারটির স্বভাব চরিত্র খুব ভালো এবং নম্র ভদ্র। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি এদেরকে দ্বীনের খাদেম হিসেবে যেন কবুল করেন’।

অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করা প্রসঙ্গে মুফতি আবু বকর আল মাদানী বলেন, ‘দেড় বছর আগে সকল শিক্ষার্থীদের মতো এরাও আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়।তাদের মেধায় ও হাফেজা মাকসুদা আক্তারের তত্বাবধানে মাত্র ৭৮ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্ত সম্পন্ন করে’।পবিত্র কোরআন শুধু আল্লাহতায়ালার প্রেরিত একটি গ্রন্থ নয়, বরং এটা একটা বড় নির্দশনও বটে।কোরআন সংরক্ষণের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে মানুষের মাধ্যমে কোরআন মুখস্থ করা।যাকে আমরা হিফজ বলি।আমাদের প্রত্যাশা আল্লাহতায়ালা তাদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল করবেন।