স্ত্রীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে মারা গেলেন স্বামীও

  • Update Time : ০১:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / 165

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :

অনেক দিন অসুস্থ থাকার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আয়নাল হকের (৫২) স্ত্রী। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকায় ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে।

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুরের ঘোগা বটতলা এলাকায় গত সোমবার বিকালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও শ্যামলী পরিবহনের একটি কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মৃত নারীর স্বামীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ দুজন।

নিহতরা হলেন- স্বামী আয়নাল হক (৫২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম (৩৫)।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকার আয়নাল হকের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার তিনি মারা যান। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা এলাকায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌঁছালে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আয়নাল হক। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার দ্বীন ইসলাম মারা যান।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বাস-অ্যাম্বুলেন্স হেফাজতে আছে এবং লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


স্ত্রীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে মারা গেলেন স্বামীও

Update Time : ০১:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :

অনেক দিন অসুস্থ থাকার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আয়নাল হকের (৫২) স্ত্রী। লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকায় ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে।

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুরের ঘোগা বটতলা এলাকায় গত সোমবার বিকালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও শ্যামলী পরিবহনের একটি কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মৃত নারীর স্বামীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ দুজন।

নিহতরা হলেন- স্বামী আয়নাল হক (৫২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম (৩৫)।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকার আয়নাল হকের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার তিনি মারা যান। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা এলাকায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌঁছালে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আয়নাল হক। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার দ্বীন ইসলাম মারা যান।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বাস-অ্যাম্বুলেন্স হেফাজতে আছে এবং লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা করা হয়েছে।