প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময়
- Update Time : ০১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
- / 292
ইসলাম ডেস্ক:
দেশের আকাশে শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে রোববার (৩ এপ্রিল)।
প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময় ভোর রাত ৪টা ২৭ মিনিট।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৫ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৪৪৩ হিজরির রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের এ সময়সূচি চূড়ান্ত করে। সময়সূচি ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে www.islamicfoundation.gov.bd প্রকাশ করা হয়।
সময়সূচি অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ভোর রাত ৪টা ২৭ মিনিট ও ইফতারির সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট।
তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১১ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ১০ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহরি ও ইফতার করবেন বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে।
রমজানের রোজা পালনের জন্য শেষ রাতে সেহরি খাওয়া আবশ্যক। এটি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ।
এদিকে দেশের আকাশে শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগে ফোন করে ফাউন্ডেশনের যশোরের উপ-পরিচালক চাঁদ দেখার সংবাদ জানান।
সেহরির পর রোজার নিয়ত
রমজানের রোজা রাখা যেমন ফরজ তেমনি রোজার জন্য নিয়ত করাও ফরজ। নিয়ত ছাড়া দিনভর না খেয়ে উপোস থাকা এবং স্ত্রী সহবাস না করলেও রোজা হবে না। রোজা রাখার জন্য সেহরির পর অন্তরের দৃঢ় সংকল্প করাই নিয়ত।
বহু প্রচলিত রোজার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ : ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
সেহরির পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে
بِصَوْمِ غَدٍا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان
উচ্চারণ : ‘বিসাওমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।’
অর্থ : ‘আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।’
নিয়ত সম্পর্কিত কিছু জরুরি কথা
আরবি কিংবা বাংলায় মুখে নিয়তের উচ্চারণ বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে শামিতে এসেছে, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’। আর ‘মনের দৃঢ় সংকল্পকে’ আজম বলা হয়।
কিন্তু রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ- এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলা বা মনের সংকল্প কোনোটিই করেন না। মুখে রোজার প্রচলিত নিয়ত তথা আরবি ও বাংলা শব্দগুলো উচ্চারণ করে অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ় সংকল্প না থাকলে তা নিয়ত হবে না। তাই রোজা রাখার বিষয়টি অন্তরের দৃঢ় সংকল্পে থাকতে হবে।
সুতরাং মূল কথা হলো- রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত করতে হবে। মুখে উচ্চারণ করার পরও অন্তরে একনিষ্ঠ সংকল্প রাখতে হবে। তবেই রোজা আদায় হবে।