শৈত্যপ্রবাহ বইছে কুড়িগ্রামে,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

  • Update Time : ০৩:১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / 194

রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা :

হিমালয়ের নিকটবর্তী উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ শিশু ও বৃদ্ধরা। একই পরিস্থিতি নদ-নদী সংলগ্ন বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনেরও। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উলিপুরের অটোচালক রনজু মিয়া জানালেন, এইরকম শীতে অটো চালাতে খুব কষ্ট হয়,হাত পা হিম হয়ে যায়।আয় ইনকাম একটু কমে গেছে।

তীব্র শীতের মধ্যেই কাজ করতে দেখা গেছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে ধান রোপন ও মাটি কাটার কাজ করা কয়েকজন বললেন, যত ঠাণ্ডাই হোক উপায় তো নাই।জীবন বাঁচাতে কাম করতেই হবে।সকাল আর রাইতে ঠান্ডা সব থাকি বেশী থাকে ঐসময় কষ্ট একটু বেশীই হয়।মাঝেমাঝে আগুন জ্বালে শরীরটা গরম করি।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগামী আরও দু-এক দিন তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা অফিস জানিয়েছেন,জেলার নয়টি উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক কোটি আট লাখ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আরও প্রায় ছয় হাজার সোয়েটার ও পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


শৈত্যপ্রবাহ বইছে কুড়িগ্রামে,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

Update Time : ০৩:১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা :

হিমালয়ের নিকটবর্তী উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ শিশু ও বৃদ্ধরা। একই পরিস্থিতি নদ-নদী সংলগ্ন বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনেরও। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উলিপুরের অটোচালক রনজু মিয়া জানালেন, এইরকম শীতে অটো চালাতে খুব কষ্ট হয়,হাত পা হিম হয়ে যায়।আয় ইনকাম একটু কমে গেছে।

তীব্র শীতের মধ্যেই কাজ করতে দেখা গেছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে ধান রোপন ও মাটি কাটার কাজ করা কয়েকজন বললেন, যত ঠাণ্ডাই হোক উপায় তো নাই।জীবন বাঁচাতে কাম করতেই হবে।সকাল আর রাইতে ঠান্ডা সব থাকি বেশী থাকে ঐসময় কষ্ট একটু বেশীই হয়।মাঝেমাঝে আগুন জ্বালে শরীরটা গরম করি।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগামী আরও দু-এক দিন তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা অফিস জানিয়েছেন,জেলার নয়টি উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক কোটি আট লাখ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আরও প্রায় ছয় হাজার সোয়েটার ও পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।