বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেফতার

  • Update Time : ১২:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 17

নওগাঁ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি। ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বাবা ছিলেন ধান ব্যবসায়ী। নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৪ সালে হাজীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাজিত করে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।

Please Share This Post in Your Social Media


বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেফতার

Update Time : ১২:২০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

নওগাঁ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি। ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বাবা ছিলেন ধান ব্যবসায়ী। নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৪ সালে হাজীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের মোস্তাফিজুর রহমানকে পরাজিত করে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।