সমাবেশ মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত
- Update Time : ১২:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
- / 991
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশ অন্যান্য সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হয়। হাজার হাজার মানুষ নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষা ভবন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে পৃথক পৃথক ব্যানারে সমাবেশে ঢুকছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিএনপি-জামায়াত বিরোধী স্লোগান দেন। ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’ এমন স্লোগানে এখন উত্তাল মুক্তাঙ্গন, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তবে দুপুর আড়াইটা থেকে বায়তুল মোকাররমের সামনে মঞ্চে নেতারা এক এক করে বক্তব্য শুরু করেন।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের উপস্থিতি ছিল নজর কারার মতো। প্রত্যেক ইউনিট থেকেই নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজ বিশ্বাস বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পি ভাই এর নির্দেশে আমরা মতিঝিল থেকে শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আজকের সমাবেশে যোগ দিয়েছি।মিরাজ বিশ্বাস আরো বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই মাঠে ছিলাম, থাকবো। জনগণের পাশে আমরা সবসময় আছি।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক ব্যানার নিয়ে সমাবেশে এসেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানে শুরু হয় আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শান্তি সমাবেশ শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ঢাকার রাস্তা বন্ধ করতে আসবে তাদের চলার পথ বন্ধ করে দেবো। দেশি-বিদেশি কেউ চোখ রাঙাবেন না। আমাদের শেকড় এ মাটির গভীরে। আমরা কাউকে পরোয়া করি না। আগুন নিয়ে আসবেন হাত পুড়িয়ে দেবো, ভাংচুর করতে আসবেন হাত পুড়িয়ে দেবো।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা হতাশ হবেন না। কারো চোখ রাঙানি শেখ হাসিনা পরোয়া করেন না। তিনি প্রয়োজনে জীবন দেবেন, তারপরও বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ব্যাহত হতে দেবেন না।
নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, মাথা গরম করবেন না। শৃঙ্খলা রাখবেন। আওয়ামী লীগের মঞ্চে শৃঙ্খলা থাকবে, সবাই উঠবে কেন? আমরা ক্ষমতায়, আমরা কেন গন্ডগোল করতে যাবো। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে এসেছেন, সেভাবেই ফিরে যাবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা কারা লন্ডনে যাচ্ছেন, তারেক রহমানের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন- নমিনেশনের জন্য, ভবিষ্যতে ব্যবসার জন্য টাকা লেনদেন করছেন তারেক রহমানের সঙ্গে। আমরা খবর রাখছি। সে-ই তো আসতে পারবেন না। আপনাদের নমিনেশন দেবে কীভাবে?
রাজনীতিতে খেলা হবে ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ভুয়া তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপির এক দফা, নয়াপল্টনের কাদা-পানিতে আটকে গেছে।
তিনি বলেন, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছেন। এখানে মির্জা ফখরুল, আমীর খসরুরা লাফালাফি করছেন। আমীর খসরু বলেছেন গণভবন নাকি ছেড়ে দিতে হবে। গণভবন কি তোমার বাবার? যতদিন জনগণ চাইবে, শেখ হাসিনা ততদিন গণভবনে থাকবেন। তোমার তারেক জিয়া কিছুই করতে পারবে না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন পেয়ে গেছো? এটা বহুদূর। সেটার নাগাল আপনারা পাবেন না।
মুচলেকা দেওয়া তারেক রহমান হলেন মির্জা ফখরুলের নেতা। এই নেতা কেউ মানে? তারেক রহমানকে ধরবে বাংলাদেশের মানুষ। লন্ডন থেকে যতই আস্ফালন করছে, ততই মানুষ তার ওপর ক্ষেপছে। তারেক, ফখরুল, খসরুরা আইন মানেন না। তারেক কথায় কথায় সুপ্রিম কোর্টকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেন। আমরা তার বিচার চাই। এত অহংকার ভালো নয়।
এতে সভাপতিত্বে করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।