গেলো বছরের তুলনায় এবার এমন লাল তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে দুটি। ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে সম্প্রতি এই হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা জনসাধারণের সচেতনতার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইটে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন দেয়া হয়েছে।
গত ২ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজধানীতে বেসরকারি আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা রয়েছে তা সম্প্রতি আপডেট করে ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ড্যাফোডিল, স্ট্যামফোর্ড, সাউথ ইস্ট, উত্তরা ইউনিভার্সিটি সহ মোট আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে অবৈধ ভবনে।
কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রোগ্রামের অনুমোদন নিয়ে সেই প্রোগ্রামের আড়ালে আরও ১০টি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া অনুমোদনহীন প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে গণবিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে লাল তারকা চিহ্নিত হয়েছে ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।
এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই ইবাইস ইউনিভার্সিটির। দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের আদেশ দেয়ার পর পুণরায় শুরুর অনুমতি দেয়া হয়নি। তাই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে দায় নেবে না বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক এ নীতি নির্ধারনী প্রতিষ্ঠান।