আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে: যুব ও ক্রীড়া সচিব

  • Update Time : ১২:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 25

যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে নিহত শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সহায়তার জন্য যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয় কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।

সরকারি অর্থ লোক দেখানো উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্পে ব্যবহার বন্ধ করে দেশকে বৈদেশিক ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত করা এবং সরকারি আর্থিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কাজে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জনমুখি আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নে ‘তরুণ নেতৃত্বের ভাবনা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস), অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রায় ৬০ তরুণ অংশগ্রহণ করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্খার আলোকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়ন করা হবে। অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যতের সরকার অতীতের সরকার থেকে আগামীর সরকার’ বিষয় উপস্থাপন করেন ঢাকাস্থ বিশ্ব ব্যাংকের লিড গর্ভন্যান্স স্পেশালিস্ট ও টাকস্ টিম লিডার সুরাইয়া জান্নাত,জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) বিলকিস জাহান রিমির সঞ্চালনায় পরিচালিত অনুষ্ঠানে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ে ‘তরুণ নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামি মোহাম্মদ।

তরুণ বক্তারা টেকসই ও জনবান্ধব আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমে ‘বাজেট পূর্ব’ আলোচনা বিষয়টি কৌশলপত্রে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তারা কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতির ব্যপক সংস্কারের পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে বছর শেষে কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতি পরিহার করে প্রয়োজনে দৈনিক বা সাপ্তাহ ভিত্তিক কর আদায়ের পক্ষে মত দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্ম কি চায়, তারা কি ভাবে দেশ গড়তে চায়, তা বিবেচনায় রেখে আর্থিক সংষ্কার করা হলে আর্থিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

অর্থ বিভাগ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তৃতীয় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্লোবাল এ্যফেয়ার্স কানাডা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এর আগে সরকার ২০০৭-২০১২ এবং ২০১৬-২০২১ সালের জন্য দুটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। পিএফএম সংস্কার কৌশল অংশীজনদের পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে টেকসই, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি শক্তিশালী পিএফএম ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসম্মত সেবা প্রদান করা। সেই সাথে মধ্যমেয়াদি বাজেটিং এবং ম্যাক্রোইকোনমিক পূর্বাভাসের প্রবর্তন করার পাশাপাশি আইবাস (একীভূত বাজেট এবং হিসাব ব্যবস্থা) এর মতো ই-সিস্টেমের মাধ্যমে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অটোমেশন, পেনশন আধুনিকীকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পরিচালনায় সংস্কার করা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে: যুব ও ক্রীড়া সচিব

Update Time : ১২:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে নিহত শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সহায়তার জন্য যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয় কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।

সরকারি অর্থ লোক দেখানো উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্পে ব্যবহার বন্ধ করে দেশকে বৈদেশিক ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত করা এবং সরকারি আর্থিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কাজে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জনমুখি আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নে ‘তরুণ নেতৃত্বের ভাবনা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস), অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রায় ৬০ তরুণ অংশগ্রহণ করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্খার আলোকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়ন করা হবে। অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যতের সরকার অতীতের সরকার থেকে আগামীর সরকার’ বিষয় উপস্থাপন করেন ঢাকাস্থ বিশ্ব ব্যাংকের লিড গর্ভন্যান্স স্পেশালিস্ট ও টাকস্ টিম লিডার সুরাইয়া জান্নাত,জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) বিলকিস জাহান রিমির সঞ্চালনায় পরিচালিত অনুষ্ঠানে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ে ‘তরুণ নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামি মোহাম্মদ।

তরুণ বক্তারা টেকসই ও জনবান্ধব আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমে ‘বাজেট পূর্ব’ আলোচনা বিষয়টি কৌশলপত্রে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তারা কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতির ব্যপক সংস্কারের পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে বছর শেষে কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতি পরিহার করে প্রয়োজনে দৈনিক বা সাপ্তাহ ভিত্তিক কর আদায়ের পক্ষে মত দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্ম কি চায়, তারা কি ভাবে দেশ গড়তে চায়, তা বিবেচনায় রেখে আর্থিক সংষ্কার করা হলে আর্থিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

অর্থ বিভাগ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তৃতীয় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্লোবাল এ্যফেয়ার্স কানাডা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এর আগে সরকার ২০০৭-২০১২ এবং ২০১৬-২০২১ সালের জন্য দুটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। পিএফএম সংস্কার কৌশল অংশীজনদের পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে টেকসই, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি শক্তিশালী পিএফএম ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসম্মত সেবা প্রদান করা। সেই সাথে মধ্যমেয়াদি বাজেটিং এবং ম্যাক্রোইকোনমিক পূর্বাভাসের প্রবর্তন করার পাশাপাশি আইবাস (একীভূত বাজেট এবং হিসাব ব্যবস্থা) এর মতো ই-সিস্টেমের মাধ্যমে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অটোমেশন, পেনশন আধুনিকীকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পরিচালনায় সংস্কার করা।