ফেসবুক-ইউটিউব চলবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

  • Update Time : ১০:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / 35

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির কারণে দেশে বন্ধ থাকা ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জানানো হবে।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটককে সরকারের দেয়া চিঠির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার আজই শেষ সময়। চিঠিতে ৩১ জুলাই এসব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) তলব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে।

মঙ্গলবার জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ফেসবুক ও ইউটিউব সরকারের চিঠির কোনো সাড়া দেয়নি। তবে টিকটক চিঠির বিপরীতে মেইল পাঠিয়ে রিপ্লে (প্রতিউত্তর) দিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফেসবুক-ইউটিউব চলবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

Update Time : ১০:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির কারণে দেশে বন্ধ থাকা ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জানানো হবে।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটককে সরকারের দেয়া চিঠির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়ার আজই শেষ সময়। চিঠিতে ৩১ জুলাই এসব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) তলব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে।

মঙ্গলবার জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ফেসবুক ও ইউটিউব সরকারের চিঠির কোনো সাড়া দেয়নি। তবে টিকটক চিঠির বিপরীতে মেইল পাঠিয়ে রিপ্লে (প্রতিউত্তর) দিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস।