সংসদ নির্বাচন: হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৬ জন

  • Update Time : ১০:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 170

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ছয়জন প্রার্থী।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এবং বিচারপতি এস. এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

যে ছয়জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন- সংসদীয় আসন ১৭২ মুন্সীগঞ্জ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, সংসদীয় আসন ১৩৫ টাঙ্গাইল-৬ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, সংসদীয় আসন ১৬৯ মানিকগঞ্জ-২ এর তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, সংসদীয় আসন ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, সংসদীয় আসন ৫২ রাজশাহী-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী এবং সংসদীয় আসন ৩৮ বগুড়া-৩ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।

গত ১০ ডিসেম্বর সোহানা তাহমিনা এবং সৈয়দ মাহমুদ ইলাহির আপিল আবেদন নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল নামঞ্জুর করে। পরে তারা ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আগে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মো. জসীম উদ্দিন এবং মো. ফেরদৌসের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদন গত ১১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আবেদন।

সেলিনা ইসলামের করা আপিল আবেদন না মঞ্জুর করে গত ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেয় ইসির নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল। আর গত ১৩ ডিসেম্বর মো. গোলাম রব্বানীর করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের রিট করেন গোলাম রব্বানী।

এ ছয়জনের রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সোহানা তাহমিনা (প্রার্থী)।

সোহানা তাহমিনা বলেন, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিলের কারণে গত ১০ ডিসেম্বর আমার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে ১৩ ডিসেম্বর ইসির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আজ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আমাকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media


সংসদ নির্বাচন: হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৬ জন

Update Time : ১০:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ছয়জন প্রার্থী।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এবং বিচারপতি এস. এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

যে ছয়জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন- সংসদীয় আসন ১৭২ মুন্সীগঞ্জ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, সংসদীয় আসন ১৩৫ টাঙ্গাইল-৬ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, সংসদীয় আসন ১৬৯ মানিকগঞ্জ-২ এর তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, সংসদীয় আসন ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, সংসদীয় আসন ৫২ রাজশাহী-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী এবং সংসদীয় আসন ৩৮ বগুড়া-৩ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।

গত ১০ ডিসেম্বর সোহানা তাহমিনা এবং সৈয়দ মাহমুদ ইলাহির আপিল আবেদন নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল নামঞ্জুর করে। পরে তারা ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আগে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মো. জসীম উদ্দিন এবং মো. ফেরদৌসের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদন গত ১১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আবেদন।

সেলিনা ইসলামের করা আপিল আবেদন না মঞ্জুর করে গত ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেয় ইসির নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল। আর গত ১৩ ডিসেম্বর মো. গোলাম রব্বানীর করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের রিট করেন গোলাম রব্বানী।

এ ছয়জনের রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সোহানা তাহমিনা (প্রার্থী)।

সোহানা তাহমিনা বলেন, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিলের কারণে গত ১০ ডিসেম্বর আমার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে ১৩ ডিসেম্বর ইসির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আজ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আমাকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।