১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম ইসলামী আন্দোলনের

  • Update Time : ০৪:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / 194

নিজস্ব প্রতিবেদ:

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয় গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ও পির সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয় গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।May be an image of one or more people, crowd and text

আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপির সব নেতাদের মুক্তি ও রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। দাবি না মানলে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমর্থন ঘোষণা করছি।

দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা, সাম্য প্রতিষ্ঠা ও গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ক্ষমতায় থাকতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছে। গোটা দেশের মানুষ জেলখানায় আবদ্ধ। এদেশের মানুষের স্বাধীনতা নাই। এই জেলের তালা ভাঙতে হবে। কোন ছলচাতুরি চলবে না। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। এই আন্দোলন যারা ভোট দিতে চায় তাদের জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিরেপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ায় বিদেশি শক্তি নাক গলাচ্ছে। আপনি ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে আমরা লড়াই করবো।

দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ এসেছে। কাউকে ভাড়া করে আনা হয় নাই। সবাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে পির সাহেবের চরমোনাইয়ের নির্দেশনা পালন করেছে। আগামীতে পির সাহেবের ঘোষিত যে কোনো কর্মসূচি আমরা পালন করবো।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আপনাদের অধীনে নির্বাচন তো দূরের কথা, আপনাদের আর এক মুহূর্তে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে যাবেন তত দ্রুত দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেননি। দেশের আইন, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা পদত্যাগ করেন, বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন।

Please Share This Post in Your Social Media


১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম ইসলামী আন্দোলনের

Update Time : ০৪:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদ:

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয় গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ও পির সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয় গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।May be an image of one or more people, crowd and text

আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপির সব নেতাদের মুক্তি ও রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। দাবি না মানলে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমর্থন ঘোষণা করছি।

দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা, সাম্য প্রতিষ্ঠা ও গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ক্ষমতায় থাকতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছে। গোটা দেশের মানুষ জেলখানায় আবদ্ধ। এদেশের মানুষের স্বাধীনতা নাই। এই জেলের তালা ভাঙতে হবে। কোন ছলচাতুরি চলবে না। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। এই আন্দোলন যারা ভোট দিতে চায় তাদের জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিরেপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ায় বিদেশি শক্তি নাক গলাচ্ছে। আপনি ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে আমরা লড়াই করবো।

দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ এসেছে। কাউকে ভাড়া করে আনা হয় নাই। সবাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে পির সাহেবের চরমোনাইয়ের নির্দেশনা পালন করেছে। আগামীতে পির সাহেবের ঘোষিত যে কোনো কর্মসূচি আমরা পালন করবো।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আপনাদের অধীনে নির্বাচন তো দূরের কথা, আপনাদের আর এক মুহূর্তে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে যাবেন তত দ্রুত দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেননি। দেশের আইন, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা পদত্যাগ করেন, বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন।