জনগণ অংশ নিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ১০:০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 110

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, তারা অংশগ্রহণ করলে বৈধ হবে, আর অন্য কেউ অংশগ্রহণ করলে হবে না, এটা তো হতে পারে না। অংশগ্রহণ মানে হলো জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সরকারে আসবে।

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে কী উদ্যোগ নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, অংশগ্রহণটা কার অংশগ্রহণ? আমার কাছে অংশগ্রহণ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সরকারে আসবে।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণ বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ভোট চোরদের? ভোট ডাকাতদের? দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিং, খুনি, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী? তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা অংশগ্রহণ করলে বৈধ হবে, আর অন্য কেউ অংশগ্রহণ করলে হবে না, এটা তো হতে পারে না। অংশগ্রহণ মানে হলো জনগণের অংশগ্রহণ। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে… যতগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো সেখানে কি জনগণ অংশগ্রহণ করেনি? জনগণ তো অংশগ্রহণ করেছে। সেটাইতো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াতের) প্রতি মানুষের ঘৃণা রয়েছে। না হলে ২০০৮ বিএনপি তো মাত্র ৩০ টা সিট পেয়েছিলো। তারপর থেকে তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তারা শুধু মনোনয়ন বাণিজ্য করে। হয়তো তারা আসবে, মনোনয়ন বেচবে, বাণিজ্য করবে, কিছু টাকা নয়া পল্টন অফিস পাবে, কিছু টাকা গুলশান অফিস পাবে, আর মোটা অঙ্ক যাবে লন্ডনে। এইতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। আর একটা সময় বলবে… নিজেরাই মারামারি করবে, প্রত্যেক বুথে হুজ্জত বাধাবে, বলবে আমরা নির্বাচন করতে পারলাম না, প্রত্যাহার করলাম। অংশগ্রহণ-অংশগ্রহণ বলে যারা অস্থির হচ্ছেন তাদের কাছে আমার এটাই প্রশ্ন?

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কয়টা নির্বাচন এ পর্যন্ত হয়ে গেলো, সেটাতে কি জনগণ অংশ নিতে পারেনি? কেউ কেউ গোলমাল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ ভোট দেয়ায় সেটা সফল হয়নি। এখন দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো সেটা তো আমি খোঁজ নিতে পারবো না। কোথায় গিয়ে কার শিং গজালো সেটা আমি দেখবো কোত্থেকে। কোথা থেকে শিং ধার করতে গেছে না কি, গুতা-টুতা মারবে বাংলাদেশের জনগণকে, নির্বাচন করতে দেবে না। গোয়েন্দা সংস্থাকে খোঁজ নিতে হবে, খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করবো, কে এলো, কে গেলো, কে কোথায় গেলো। এটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। শিং নাই তবু সিংহ, ও নিয়ে চিন্তার কি আছে?

অবাধ, নিরপেক্ষ বিষয়ে বিদেশিদের বিবৃতি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ? যখন মিলিটারি ডিকটেটররা করতো তখন এই সুর কোথায় ছিল? আমাদের দেশের আঁতেলরা এখন যারা স্টেটমেন্ট দেন তারা কোথায় ছিলেন? যখন জিয়াউর রহমান ভোট নিয়ে চুরি শুরু করলো, এরশাদ করলো, খালেদা জিয়া করলো ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। ২০০১-এর নির্বাচনে যে অত্যাচার-নির্যাতন হলো, জোর করে আমাদের হারানো হলো- তখন তাদের এই নীতি কথাগুলো ছিল কোথায়?

শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশে নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম আওয়ামী লীগই করেছে, রক্ত দিয়েছে। যতটুকু আজকে এসেছে সেটা আমরাই করেছি। ভোট চুরির মধ্যদিয়ে যাদের উত্থান- তাদের কাছ থেকে এখন ভোটের দাবি এবং ভোটের স্বচ্ছতা, নির্বাচনের স্বচ্ছতার কথা শুনতে হয় আমাদের। যাদের আমলে কথাই ছিল ১০টা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। বেশি দিন আগের তো কথা নয়। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের কথাটা মনে করলে তো হয়। যতই ভালো করি ততো আরও ভালো চাই। আরও ভালো চাই। এই তো। বেশি ভালো চাইতে চাইতে যখন সবার আবার কপাল পুড়বে তখন বুঝবেন কেমন লাগে?

বাংলাদেশ ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেতরে-বাইরে তৎপরতা দেখাচ্ছে। চীন-ভারত তৎপর। সব কিছু মিলিয়ে দেশে কী হচ্ছে, কী হবে? মানুষের মনে এই প্রশ্ন—কী হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হচ্ছে কী হবে কী— এটার উত্তর কে দেবে? এটা তো জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়। শুধু মেগা প্রকল্পই নয়, খাদ্য উৎপাদন, মাছ-মাংস-সবজি কোনটার অভাব আছে? উৎপাদনের তো কোনও ঘাটতি নেই। পাশাপাশি মেগাপ্রকল্পসহ সব উন্নয়ন তো জনগণের কাজেই লাগছে। তারাই তো এর সুফল ভোগ করেন। এখন কিছু লোক তো থাকবেই। আপনারা এত আশা করেন কী করে সবাই একেবারে… একতালে খালি প্রশংসাই করে যাবে। সেটা তো করবে না। যারা এক সময় দেশ চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের মনোবেদনা তো আছেই। আপনি এখন যতই ভালো করেন তারা সেটাকে খারাপ দেখবে। এরকম লোক কিছু থাকবে। এটা সব দেশেই থাকে। না হলে তো সাংবাদিকরাই বা লেখার খোরাকি কই পাবেন। তারা আপনাদের সেই খোরাকি দিচ্ছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণের জন্য আছি। জনগণের কল্যাণ করাটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি দেশকে উন্নত করতে। এত দ্রুত সময় এত পরিবর্তন আনাটা কী এত সহজ কাজ? এটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিদেশে গেলাম। যাদের সাথে দেখা হয়েছে প্রত্যেকেই একটা কথা জিজ্ঞাসা করে-বাংলাদেশ কী করে এত উন্নতি করলো। এটা তো একটা বিস্ময়। শুধু আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, পরশ্রীকাতর। যার কোনও ইংরেজি ভার্সন নেই। এখন কেউ যদি পরশ্রীকাতরতায় ভোগে আমার তো কিছু করার নেই। আর কে কী বললো না বললো সেটা নিয়ে আমি কমই চিন্তা করি। আমার মাথায় আমার বাংলাদেশ আছে। বাংলাদেশের মানুষ আছে। তাদের কল্যাণে কী করবো সেটাই চিন্তা করি। যতক্ষণ আছি দেশের জন্য কাজ করে যাবো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জনগণ অংশ নিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১০:০৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, তারা অংশগ্রহণ করলে বৈধ হবে, আর অন্য কেউ অংশগ্রহণ করলে হবে না, এটা তো হতে পারে না। অংশগ্রহণ মানে হলো জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সরকারে আসবে।

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে কী উদ্যোগ নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, অংশগ্রহণটা কার অংশগ্রহণ? আমার কাছে অংশগ্রহণ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সরকারে আসবে।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণ বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ভোট চোরদের? ভোট ডাকাতদের? দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিং, খুনি, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী? তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা অংশগ্রহণ করলে বৈধ হবে, আর অন্য কেউ অংশগ্রহণ করলে হবে না, এটা তো হতে পারে না। অংশগ্রহণ মানে হলো জনগণের অংশগ্রহণ। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে… যতগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো সেখানে কি জনগণ অংশগ্রহণ করেনি? জনগণ তো অংশগ্রহণ করেছে। সেটাইতো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াতের) প্রতি মানুষের ঘৃণা রয়েছে। না হলে ২০০৮ বিএনপি তো মাত্র ৩০ টা সিট পেয়েছিলো। তারপর থেকে তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তারা শুধু মনোনয়ন বাণিজ্য করে। হয়তো তারা আসবে, মনোনয়ন বেচবে, বাণিজ্য করবে, কিছু টাকা নয়া পল্টন অফিস পাবে, কিছু টাকা গুলশান অফিস পাবে, আর মোটা অঙ্ক যাবে লন্ডনে। এইতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। আর একটা সময় বলবে… নিজেরাই মারামারি করবে, প্রত্যেক বুথে হুজ্জত বাধাবে, বলবে আমরা নির্বাচন করতে পারলাম না, প্রত্যাহার করলাম। অংশগ্রহণ-অংশগ্রহণ বলে যারা অস্থির হচ্ছেন তাদের কাছে আমার এটাই প্রশ্ন?

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কয়টা নির্বাচন এ পর্যন্ত হয়ে গেলো, সেটাতে কি জনগণ অংশ নিতে পারেনি? কেউ কেউ গোলমাল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ ভোট দেয়ায় সেটা সফল হয়নি। এখন দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো সেটা তো আমি খোঁজ নিতে পারবো না। কোথায় গিয়ে কার শিং গজালো সেটা আমি দেখবো কোত্থেকে। কোথা থেকে শিং ধার করতে গেছে না কি, গুতা-টুতা মারবে বাংলাদেশের জনগণকে, নির্বাচন করতে দেবে না। গোয়েন্দা সংস্থাকে খোঁজ নিতে হবে, খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করবো, কে এলো, কে গেলো, কে কোথায় গেলো। এটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। শিং নাই তবু সিংহ, ও নিয়ে চিন্তার কি আছে?

অবাধ, নিরপেক্ষ বিষয়ে বিদেশিদের বিবৃতি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ? যখন মিলিটারি ডিকটেটররা করতো তখন এই সুর কোথায় ছিল? আমাদের দেশের আঁতেলরা এখন যারা স্টেটমেন্ট দেন তারা কোথায় ছিলেন? যখন জিয়াউর রহমান ভোট নিয়ে চুরি শুরু করলো, এরশাদ করলো, খালেদা জিয়া করলো ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। ২০০১-এর নির্বাচনে যে অত্যাচার-নির্যাতন হলো, জোর করে আমাদের হারানো হলো- তখন তাদের এই নীতি কথাগুলো ছিল কোথায়?

শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশে নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম আওয়ামী লীগই করেছে, রক্ত দিয়েছে। যতটুকু আজকে এসেছে সেটা আমরাই করেছি। ভোট চুরির মধ্যদিয়ে যাদের উত্থান- তাদের কাছ থেকে এখন ভোটের দাবি এবং ভোটের স্বচ্ছতা, নির্বাচনের স্বচ্ছতার কথা শুনতে হয় আমাদের। যাদের আমলে কথাই ছিল ১০টা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা। বেশি দিন আগের তো কথা নয়। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের কথাটা মনে করলে তো হয়। যতই ভালো করি ততো আরও ভালো চাই। আরও ভালো চাই। এই তো। বেশি ভালো চাইতে চাইতে যখন সবার আবার কপাল পুড়বে তখন বুঝবেন কেমন লাগে?

বাংলাদেশ ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেতরে-বাইরে তৎপরতা দেখাচ্ছে। চীন-ভারত তৎপর। সব কিছু মিলিয়ে দেশে কী হচ্ছে, কী হবে? মানুষের মনে এই প্রশ্ন—কী হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হচ্ছে কী হবে কী— এটার উত্তর কে দেবে? এটা তো জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়। শুধু মেগা প্রকল্পই নয়, খাদ্য উৎপাদন, মাছ-মাংস-সবজি কোনটার অভাব আছে? উৎপাদনের তো কোনও ঘাটতি নেই। পাশাপাশি মেগাপ্রকল্পসহ সব উন্নয়ন তো জনগণের কাজেই লাগছে। তারাই তো এর সুফল ভোগ করেন। এখন কিছু লোক তো থাকবেই। আপনারা এত আশা করেন কী করে সবাই একেবারে… একতালে খালি প্রশংসাই করে যাবে। সেটা তো করবে না। যারা এক সময় দেশ চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের মনোবেদনা তো আছেই। আপনি এখন যতই ভালো করেন তারা সেটাকে খারাপ দেখবে। এরকম লোক কিছু থাকবে। এটা সব দেশেই থাকে। না হলে তো সাংবাদিকরাই বা লেখার খোরাকি কই পাবেন। তারা আপনাদের সেই খোরাকি দিচ্ছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণের জন্য আছি। জনগণের কল্যাণ করাটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি দেশকে উন্নত করতে। এত দ্রুত সময় এত পরিবর্তন আনাটা কী এত সহজ কাজ? এটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিদেশে গেলাম। যাদের সাথে দেখা হয়েছে প্রত্যেকেই একটা কথা জিজ্ঞাসা করে-বাংলাদেশ কী করে এত উন্নতি করলো। এটা তো একটা বিস্ময়। শুধু আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, পরশ্রীকাতর। যার কোনও ইংরেজি ভার্সন নেই। এখন কেউ যদি পরশ্রীকাতরতায় ভোগে আমার তো কিছু করার নেই। আর কে কী বললো না বললো সেটা নিয়ে আমি কমই চিন্তা করি। আমার মাথায় আমার বাংলাদেশ আছে। বাংলাদেশের মানুষ আছে। তাদের কল্যাণে কী করবো সেটাই চিন্তা করি। যতক্ষণ আছি দেশের জন্য কাজ করে যাবো।