দেশের মানুষের আয় বেড়েছে দিগুণ
- Update Time : ০৮:৪৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
- / 138
নিজস্ব প্রতিনিধি
দেশে বর্তমানে (২০২২ সালের জরিপে) একটি খানার (পরিবার) মাসিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। ২০১৬ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ফলে ৬ বছরের ব্যবধানে মানুষের আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে আয়ের পাশাপাশি খরচও বেড়েছে।
দেশে বর্তমানে (২০২২ সালের জরিপে) একটি খানার (পরিবার) মাসে গড় খরচ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। এ হিসাবে ৬ বছরের ব্যবধানে খরচও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বিবিএস মিলনায়তনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেওয়া নানা কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের হার কমেছে। দেশে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠী ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া হতদরিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই বছর হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে ছয় বছরের ব্যবধানে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, পল্লি অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০১৬ সালের পর এ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বিবিএস। সংস্থাটির সর্বশেষ ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০১৬’প্রকাশ করেছিল।
সারা দেশের ৭২০টি নমুনা এলাকায় এই জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতিটি নমুনা এলাকা থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২০টি করে মোট ১৪ হাজার ৪০০ খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্রে মোট ১০টি সেকশন ছিল। এই ১০টি সেকশনের তথ্য সংগ্রহের জন্য একজন তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিটি খানায় ১০ বার ভিজিট করেন।
জরিপ পরিচালনার সময়কাল: হেইজ ২০২২ জরিপে ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে অর্থাৎ এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিবিএস থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রতি পরিবারের খরচ ছিল মাত্র ১১ হাজার ২০০ টাকা। একই সময়ে আয় ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা। ফলে এক যুগের ব্যবধানে আয় যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি খরচও বেড়েছে।