গণপরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  • Update Time : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • / 172

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘট চলছে। রাস্তায় নেই গণপরিবহন।

সকাল থেকেই রাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। কেউ যাবেন কর্মস্থলে, কেউ যাবেন বাড়ি, কেউ প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল,কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়।

আমির হোসেন থাকেন মিরপুর ২ নম্বর এলাকায়, যাবেন বাংলামোটর। এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে। কাজ করেন একটি টাইলসের দোকানে। আমির বলেন, গতকালকে রিকশায় দেড়শ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলামোটর গেছি। ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ১৫ টাকা ভাড়া রিকশা চাইছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। গতকালকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে গেছি কর্মস্থলে। এই যে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি, অতিরিক্ত খরচ কিভাবে যোগাবো? সাধারণ জনগণের খবর কেউ রাখেনা।

আরমান হোসেন ব্যক্তিগত কাজে যাবেন মিরপুর ১ নম্বরে । আধা ঘণ্টা ধরে মতিঝিল অপেক্ষা করছিলেন সিএনজি অটোরিকশা বা রিকশার জন্য। আরমান বলেন, সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া চাইছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তাও একজনের ভাড়া।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদের মত সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। এই দেশে কেউ সাধারণ মানুষ বা জনগণের কথা ভাবেন না। যে যার মতো করে চলছে।

এর আগে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।

Please Share This Post in Your Social Media


গণপরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

Update Time : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘট চলছে। রাস্তায় নেই গণপরিবহন।

সকাল থেকেই রাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। কেউ যাবেন কর্মস্থলে, কেউ যাবেন বাড়ি, কেউ প্রয়োজনের তাগিদে বের হয়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল,কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়।

আমির হোসেন থাকেন মিরপুর ২ নম্বর এলাকায়, যাবেন বাংলামোটর। এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে। কাজ করেন একটি টাইলসের দোকানে। আমির বলেন, গতকালকে রিকশায় দেড়শ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলামোটর গেছি। ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ১৫ টাকা ভাড়া রিকশা চাইছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। গতকালকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে গেছি কর্মস্থলে। এই যে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি, অতিরিক্ত খরচ কিভাবে যোগাবো? সাধারণ জনগণের খবর কেউ রাখেনা।

আরমান হোসেন ব্যক্তিগত কাজে যাবেন মিরপুর ১ নম্বরে । আধা ঘণ্টা ধরে মতিঝিল অপেক্ষা করছিলেন সিএনজি অটোরিকশা বা রিকশার জন্য। আরমান বলেন, সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া চাইছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তাও একজনের ভাড়া।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদের মত সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। এই দেশে কেউ সাধারণ মানুষ বা জনগণের কথা ভাবেন না। যে যার মতো করে চলছে।

এর আগে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।