ফের হামাস প্রধানের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

  • Update Time : ০২:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / 75

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু করার পর এই নিয়ে দু’বার হানিয়ার সঙ্গে আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বৈঠকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও সাধারণ মানুষের চরম দুরবস্থা সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন ইসমাইল হানিয়া। সাক্ষাৎ শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল একটি জটিল সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রতিরোধ সংগঠনগুলি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা যে সব সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে তা নয়। কাজেই, গাজা উপত্যকায় যদি ইহুদিবাদী সরকারের যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত থাকে এবং সংঘাত ও যুদ্ধের পরিধি বিস্তৃত হয়, তবে কোন পক্ষই এর পরিণতি ও প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে পারবে না।

সাক্ষাতে হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্ট তার শক্তি ও সামর্থ্যের শীর্ষে রয়েছে। এ কারণে, প্রতিরোধ শক্তির সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেটে পরিণত করছে। গাজার অধিবাসী ও আবাসিক এলাকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ব্যবহৃত বোমার পরিমাণ হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। দুঃখজনকভাবে ইসরাইলের পৈশাচিক হামলাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশের সম্পূর্ণ সমর্থনে পরিচালিত হচ্ছে।

হামাস গাজার কাছে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল সামরিক অভিযান শুরু করার এক সপ্তাহ পরে গত ১৪ অক্টোবর দোহায় প্রথমবার আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং হানিয়া বৈঠক করেছিলেন। পার্সটুডে

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফের হামাস প্রধানের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

Update Time : ০২:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু করার পর এই নিয়ে দু’বার হানিয়ার সঙ্গে আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বৈঠকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও সাধারণ মানুষের চরম দুরবস্থা সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন ইসমাইল হানিয়া। সাক্ষাৎ শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল একটি জটিল সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রতিরোধ সংগঠনগুলি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা যে সব সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে তা নয়। কাজেই, গাজা উপত্যকায় যদি ইহুদিবাদী সরকারের যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত থাকে এবং সংঘাত ও যুদ্ধের পরিধি বিস্তৃত হয়, তবে কোন পক্ষই এর পরিণতি ও প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে পারবে না।

সাক্ষাতে হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্ট তার শক্তি ও সামর্থ্যের শীর্ষে রয়েছে। এ কারণে, প্রতিরোধ শক্তির সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেটে পরিণত করছে। গাজার অধিবাসী ও আবাসিক এলাকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ব্যবহৃত বোমার পরিমাণ হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। দুঃখজনকভাবে ইসরাইলের পৈশাচিক হামলাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশের সম্পূর্ণ সমর্থনে পরিচালিত হচ্ছে।

হামাস গাজার কাছে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল সামরিক অভিযান শুরু করার এক সপ্তাহ পরে গত ১৪ অক্টোবর দোহায় প্রথমবার আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং হানিয়া বৈঠক করেছিলেন। পার্সটুডে