ইরপিন ও সুমি শহর ছাড়ছে বাসিন্দারা

  • Update Time : ০৫:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • / 200

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পশ্চিম দিকের শহর ইরপিন থেকে বেসামরিক মানুষজন বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ শহরটিতে গত ক’দিন ধরে প্রচণ্ড লড়াই চলছিল।

স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ শহর ছেড়েছে।

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব দিকের সুমি শহর থেকেও বেসামরিক লোকেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এর আগে কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে ‘মানবিক করিডোর’ খুলতে একমত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন।

এর আগেও এরকম করিডোর ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এখন বলা হচ্ছে স্থানীয় সময় সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে ‘মানবিক করিডোর’ দেয়ার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে মস্কো যেসব করিডোর ঘোষণা করেছে, তার বেশিরভাগ রাশিয়ার দিকে গেছে। গতকাল এরকম একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কিয়েভের সরকার।

রাশিয়ার আজকের ঘোষণার বিষয়ে ইউক্রেন কোন মন্তব্য করেনি। বেসামরিক মানুষজনকে সরিয়ে নিতে এর আগে কয়েকদফা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। ব্যর্থতার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইরপিন ও সুমি শহর ছাড়ছে বাসিন্দারা

Update Time : ০৫:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পশ্চিম দিকের শহর ইরপিন থেকে বেসামরিক মানুষজন বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ শহরটিতে গত ক’দিন ধরে প্রচণ্ড লড়াই চলছিল।

স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ শহর ছেড়েছে।

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব দিকের সুমি শহর থেকেও বেসামরিক লোকেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এর আগে কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে ‘মানবিক করিডোর’ খুলতে একমত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন।

এর আগেও এরকম করিডোর ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। এখন বলা হচ্ছে স্থানীয় সময় সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে ‘মানবিক করিডোর’ দেয়ার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে মস্কো যেসব করিডোর ঘোষণা করেছে, তার বেশিরভাগ রাশিয়ার দিকে গেছে। গতকাল এরকম একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কিয়েভের সরকার।

রাশিয়ার আজকের ঘোষণার বিষয়ে ইউক্রেন কোন মন্তব্য করেনি। বেসামরিক মানুষজনকে সরিয়ে নিতে এর আগে কয়েকদফা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। ব্যর্থতার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।