দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ, সমুদ্রে কমছে স্রোতের প্রবাহ

  • Update Time : ১১:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / 131

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলতে থাকায় কমে যাচ্ছে গভীর সমুদ্রের স্রোতের প্রবাহ। ২০৫০ সাল নাগাদ এই প্রবাহ ৪০ শতাংশ থেমে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিবেশে এর বিরূপ প্রভাব আগামী একশ’ বছর পৃথিবীকে ভোগ করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সাগর জলের লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়বে সামদ্রিক জীববৈচিত্র্যও।

জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার, নির্বিচারে বনাঞ্চল উচ্ছেদসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই বিরূপ প্রভাবের প্রতিনিয়তই অস্বাভাবিক হারে গলছে কোটি কোটি বছর ধরে জমে থাকা অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের হিমবাহ।

সাম্প্রতিক সময়ে এই বরফ আরও দ্রুত গলতে শুরু করছে বলে জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। যার প্রভাবে মহাসাগরগুলোতে পানির প্রবাহ কমছে নাটকীয়ভাবে। গভীর সাগরের এই স্রোত বিশ্বের প্রয়োজনীয় তাপ, অক্সিজেন, কার্বন এবং পুষ্টির যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এভাবে বরফ গলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জলের এই প্রবাহ ৪০ শতাংশ থেমে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এমনটা হলে বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা কমে যাবে মহাসাগরগুলোর। এতে পরিবেশে বৃদ্ধি পাবে গ্যাসের পরিমাণ। বিভিন্ন অঞ্চলের সাগরে ভেসে থাকা বরফের স্তরে দেখা দিবে অস্থিতিশীলতা। এছাড়া উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর স্রোতের ধীর গতি ইউরোপকে আরও শীতল করে তুলবে।

পাশাপাশি হিমবাহ গলা মিঠা পানি সাগরের সঙ্গে মিশে লবণাক্ততা কমাবে সাগর জলের। এতে ধ্বংসের মুখে পড়বে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খল। পৃথিবীজুড়ে বাড়বে বৃষ্টি, বৃদ্ধি পাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাও।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ, সমুদ্রে কমছে স্রোতের প্রবাহ

Update Time : ১১:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলতে থাকায় কমে যাচ্ছে গভীর সমুদ্রের স্রোতের প্রবাহ। ২০৫০ সাল নাগাদ এই প্রবাহ ৪০ শতাংশ থেমে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরিবেশে এর বিরূপ প্রভাব আগামী একশ’ বছর পৃথিবীকে ভোগ করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সাগর জলের লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়বে সামদ্রিক জীববৈচিত্র্যও।

জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার, নির্বিচারে বনাঞ্চল উচ্ছেদসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই বিরূপ প্রভাবের প্রতিনিয়তই অস্বাভাবিক হারে গলছে কোটি কোটি বছর ধরে জমে থাকা অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের হিমবাহ।

সাম্প্রতিক সময়ে এই বরফ আরও দ্রুত গলতে শুরু করছে বলে জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। যার প্রভাবে মহাসাগরগুলোতে পানির প্রবাহ কমছে নাটকীয়ভাবে। গভীর সাগরের এই স্রোত বিশ্বের প্রয়োজনীয় তাপ, অক্সিজেন, কার্বন এবং পুষ্টির যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এভাবে বরফ গলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জলের এই প্রবাহ ৪০ শতাংশ থেমে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এমনটা হলে বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা কমে যাবে মহাসাগরগুলোর। এতে পরিবেশে বৃদ্ধি পাবে গ্যাসের পরিমাণ। বিভিন্ন অঞ্চলের সাগরে ভেসে থাকা বরফের স্তরে দেখা দিবে অস্থিতিশীলতা। এছাড়া উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর স্রোতের ধীর গতি ইউরোপকে আরও শীতল করে তুলবে।

পাশাপাশি হিমবাহ গলা মিঠা পানি সাগরের সঙ্গে মিশে লবণাক্ততা কমাবে সাগর জলের। এতে ধ্বংসের মুখে পড়বে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খল। পৃথিবীজুড়ে বাড়বে বৃষ্টি, বৃদ্ধি পাবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতাও।