গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়, সুযোগ নিচ্ছে বাংলালিংক
- Update Time : ০৩:১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 120
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অপারেটরের নেটওয়ার্কে ভয়েস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ জানিয়ে ব্যবহারকারীরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
এদিকে নেটওয়ার্ক বিপর্যয় প্রসঙ্গে গ্রামীণফোন এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমাদের টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।’
এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, “গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ডাউন সম্পর্কে আমরাও জেনেছি। তবে ঠিক কী সমস্যা হয়েছে জানি না। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।”
তবে দুপুরের পর নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন খায়রুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, “দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে সারাদেশের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়েছে।”
এরআগে গ্রামীণফোনকে নেটওয়ার্ক দ্রুত পুনর্বহাল করতে এবং নেটওয়ার্ক বিঘ্ন হওয়ার কারণ জানাতে বলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের সঠিক কারণ ব্যাখ্যাসহ অতিদ্রুত জরুরি ভিত্তিতে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এদিকে গ্রামীণফোনের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপর একটি পোস্ট দিয়েছে বাংলালিংক। পোস্টে তারা লিখেছে, ‘চলে আসুন বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন FASTEST 4G নেটওয়ার্ক বাংলালিংক-এ আর কানেক্টেড থাকুন সবসময়, সবখানে।’
কেউ কেউ বিষয়টিকে বাঁকা চোখে দেখছেন। এক গ্রাহক মন্তব্য করে বাংলালিংকের বিজ্ঞপ্তির নিচে লিখেছেন- ‘সুযোগ পায়ছে আজকে’। কেউ আবার লিখেছেন- ‘সুযোগে সৎ ব্যবহার’।
প্রসঙ্গত, এর আগে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গ্রাহকসেবার মান নিম্নমানের একারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয়মাস পর তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।