ঘুমন্ত মানুষেরা চাপা পড়েছেন কংক্রিটের ধ্বংসস্তুপে

  • Update Time : ০৫:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 136

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিট, বেশিরভাগ মানুষ তখন ঘুমিয়ে। ঠিক সে সময় শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে তুরস্কে। কেঁপে ওঠে গাজিয়ানটেপ ও তার আশেপাশের শহর। ঘুমন্ত মানুষেরা চাপা পড়েন ধসে পড়া ভবনের নিচে। ঘুমিয়ে থাকায় এই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভূমিকম্পনটির উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়, ১৭ দশমিক নয় কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৭ দশমিক ৮।

প্রথম কম্পনের পর আরও দুটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাননি কেউ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেছে দুর্যোগ।

তুরস্কের দশটি শহরের বহু ভবন ধসে পড়েছে, বিশাল ধ্বংসস্তূপের নিচে হয়তো কেউ বেঁচে আছেন এই আশায় কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলগুলো।

ধসে পড়েছে গাজিয়ানটেপ ক্যাসেল, দেশটির ঐতিহাসিক এই ল্যান্ডমার্ক দাঁড়িয়ে ছিল দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে।

সিরিয়া ও সাইপ্রাস ছাড়িয়ে এই কম্পনের রেশ অনুভূত হয়েছে লেবাননেও। বৈরুতের একজন ছাত্র মোহাম্মদ এল চামা বিবিসিকে বলেন, “আমি কিছু লিখছিলাম এবং হঠাৎ করেই পুরো ভবনটি কাঁপতে শুরু করে এবং হ্যাঁ আমি আসলেই বুঝতে পারিনি কি অনুভব করব।”

তিনি বলেন “আমি ঠিক জানালার পাশেই ছিলাম এবং ভয় পেয়েছিলাম জানালার কাঁচ ভেঙে যেতে পারে এই ভেবে। এটি চার-পাঁচ মিনিট ধরে চলেছিল এবং এটি বেশ ভয়ঙ্কর ছিল।“

গাজা উপত্যকায় অবস্থানরত বিবিসির একজন প্রযোজক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে একটি ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঘুমন্ত মানুষেরা চাপা পড়েছেন কংক্রিটের ধ্বংসস্তুপে

Update Time : ০৫:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিট, বেশিরভাগ মানুষ তখন ঘুমিয়ে। ঠিক সে সময় শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে তুরস্কে। কেঁপে ওঠে গাজিয়ানটেপ ও তার আশেপাশের শহর। ঘুমন্ত মানুষেরা চাপা পড়েন ধসে পড়া ভবনের নিচে। ঘুমিয়ে থাকায় এই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভূমিকম্পনটির উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়, ১৭ দশমিক নয় কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৭ দশমিক ৮।

প্রথম কম্পনের পর আরও দুটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাননি কেউ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেছে দুর্যোগ।

তুরস্কের দশটি শহরের বহু ভবন ধসে পড়েছে, বিশাল ধ্বংসস্তূপের নিচে হয়তো কেউ বেঁচে আছেন এই আশায় কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলগুলো।

ধসে পড়েছে গাজিয়ানটেপ ক্যাসেল, দেশটির ঐতিহাসিক এই ল্যান্ডমার্ক দাঁড়িয়ে ছিল দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে।

সিরিয়া ও সাইপ্রাস ছাড়িয়ে এই কম্পনের রেশ অনুভূত হয়েছে লেবাননেও। বৈরুতের একজন ছাত্র মোহাম্মদ এল চামা বিবিসিকে বলেন, “আমি কিছু লিখছিলাম এবং হঠাৎ করেই পুরো ভবনটি কাঁপতে শুরু করে এবং হ্যাঁ আমি আসলেই বুঝতে পারিনি কি অনুভব করব।”

তিনি বলেন “আমি ঠিক জানালার পাশেই ছিলাম এবং ভয় পেয়েছিলাম জানালার কাঁচ ভেঙে যেতে পারে এই ভেবে। এটি চার-পাঁচ মিনিট ধরে চলেছিল এবং এটি বেশ ভয়ঙ্কর ছিল।“

গাজা উপত্যকায় অবস্থানরত বিবিসির একজন প্রযোজক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে একটি ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি