কনডম ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

  • Update Time : ০১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • / 1730

অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে দূরে থাকতে কনডম ব্যবহার খুবই জরুরি। তবে এর ব্যবহারের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে, যা হয়তো আমরা জানি না। তাই দোকান থেকে কনডম কেনা থেকে শুরু করে ব্যবহারের আগ পর্যন্ত কিছু বিষয় জেনে রাখা আবশ্যক। আসুন জেনে নেই সেসব বিষয় সম্পর্কে-

কনডম তৈরির উপাদান: কনডম অনেক উপাদান দিয়েই তৈরি হতে পারে। তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কনডমের মেয়াদ খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যায়। সিনথেটিক কোনো উপাদান দিয়ে কনডম তৈরি করা হলে তা বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

আমরা সচরাচর যে কনডমগুলো ব্যবহার করি, সেগুলো তৈরি করা হয় মূলত রাবার দিয়ে। তার মধ্যে থাকে পলিইউরিথিন বা ভেড়ার চামড়া বা পলিসোপ্রিন। গবেষকরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে সিনথেটিক কনডমের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

যে কনডম কিনবেন না: বাজারে অনেক ধরনের কনডম আছে, যেগুলো মূলত স্পার্মিসাইড ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। সেগুলো কেনা ঠিক নয়। কারণ এ ধরনের কনডম বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই দোকান বা ফার্মেসি থেকে কনডম কেনার আগে সেই বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

কনডমের মেয়াদ: ওষুধ থেকে শুরু করে অন্য চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর নির্দিষ্ট আছে। তেমনই কনডমেরও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয় আছে। তাই কনডম কেনার সময় প্যাকেটটি ভালো করে খেয়াল করে দেখলেই জানা যাবে, এটার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ।

কনডম ব্যবহারের আগে যে ৫টি বিষয় মাথায় রাখবেন

যেখানে কনডম রাখবেন: কনডম ঘরের যেখানে-সেখানে রাখা মোটেই উচিত নয়। তবে ঘরের বিছানার পাশের টেবিল, ওয়ালেট, পকেট- এমন সব জায়গায় কনডম রাখা নিরাপদ।

মনে রাখবেন, কনডম কখনো অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। তাই ফ্রিজ বা রোদ ঝলমল করা জায়গায় একদমই রাখবেন না। কারণ খুব কম সময়ই এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কনডম নয়: কনডম মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে তা ব্যবহার করে থাকেন। এতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ সময় যত যাবে, ততই দুর্বল হতে থাকবে কনডমের মেয়াদ।

তাই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কনডম ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

Update Time : ০১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে দূরে থাকতে কনডম ব্যবহার খুবই জরুরি। তবে এর ব্যবহারের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে, যা হয়তো আমরা জানি না। তাই দোকান থেকে কনডম কেনা থেকে শুরু করে ব্যবহারের আগ পর্যন্ত কিছু বিষয় জেনে রাখা আবশ্যক। আসুন জেনে নেই সেসব বিষয় সম্পর্কে-

কনডম তৈরির উপাদান: কনডম অনেক উপাদান দিয়েই তৈরি হতে পারে। তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কনডমের মেয়াদ খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যায়। সিনথেটিক কোনো উপাদান দিয়ে কনডম তৈরি করা হলে তা বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

আমরা সচরাচর যে কনডমগুলো ব্যবহার করি, সেগুলো তৈরি করা হয় মূলত রাবার দিয়ে। তার মধ্যে থাকে পলিইউরিথিন বা ভেড়ার চামড়া বা পলিসোপ্রিন। গবেষকরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে সিনথেটিক কনডমের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

যে কনডম কিনবেন না: বাজারে অনেক ধরনের কনডম আছে, যেগুলো মূলত স্পার্মিসাইড ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। সেগুলো কেনা ঠিক নয়। কারণ এ ধরনের কনডম বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই দোকান বা ফার্মেসি থেকে কনডম কেনার আগে সেই বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

কনডমের মেয়াদ: ওষুধ থেকে শুরু করে অন্য চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর নির্দিষ্ট আছে। তেমনই কনডমেরও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয় আছে। তাই কনডম কেনার সময় প্যাকেটটি ভালো করে খেয়াল করে দেখলেই জানা যাবে, এটার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ।

কনডম ব্যবহারের আগে যে ৫টি বিষয় মাথায় রাখবেন

যেখানে কনডম রাখবেন: কনডম ঘরের যেখানে-সেখানে রাখা মোটেই উচিত নয়। তবে ঘরের বিছানার পাশের টেবিল, ওয়ালেট, পকেট- এমন সব জায়গায় কনডম রাখা নিরাপদ।

মনে রাখবেন, কনডম কখনো অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। তাই ফ্রিজ বা রোদ ঝলমল করা জায়গায় একদমই রাখবেন না। কারণ খুব কম সময়ই এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কনডম নয়: কনডম মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে তা ব্যবহার করে থাকেন। এতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ সময় যত যাবে, ততই দুর্বল হতে থাকবে কনডমের মেয়াদ।

তাই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।