মেহজাবীনকে ক্রেস্ট দিল পুলিশ

  • Update Time : ১২:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 190

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ট্রাফিক পুলিশে যোগ দেন আলো। নারী হওয়ার কারণে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন তিনি।

নারী ট্রাফিক পুলিশের বুথের পাশে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।পাবলিক টয়লেটে গিয়ে হেনস্তা হতে হয়। নারী হওয়ায় বাজে মন্তব্য করেন মাতাল ট্রাকচালক। তারপরেও পেশাকে ভালোবেসে কাজ করে যান আলো। দেশের নারী ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে এমন সাহসী একটি গল্প লিখে পুরস্কৃত হলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নাটকটির নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি।

তিন দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে ফোনে জানানো হয়, নাটকের টিমকে পুরস্কার দেওয়া হবে। নাটকটি প্রচারের পর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা তাদের ফোনে ধন্যবাদ জানান।

নারী পুলিশদের এমন সমস্যা দেখানোর জন্য ভক্ত এবং সহকর্মীরা অনেকেই সাধুবাদ জানান। সেই কাজের জন্য আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন। এই সময় সঙ্গে ছিলেন ‘আলো’ নাটকের পরিচালক।

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘একটি কাজ তখনই সার্থক হয়, যখন দর্শক সেই কাজ দেখেন। তাঁদের ভালো লাগা প্রকাশ করেন এবং কাজটি নিয়ে নানান রকম ফিডব্যাক দেন। এই কাজের জন্য প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফিডব্যাক পেয়েছি। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রায় সবাই নাটকটি দেখেছেন, প্রশংসা করেছেন। তাঁরা চান, ভবিষ্যতে তাঁদের না বলা গল্প, ত্যাগ নাটকের গল্পে উঠে আসুক। আমি চেষ্টা করব, এই ধরনের কাজ আরও করতে।’

নাটকটি লেখার সময় কি ভেবেছিলেন এমন একটা জায়গা থেকে স্বীকৃতি পাবেন? মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান থেকে গত ঈদের জন্য “আলো” নাটকটি লিখেছিলাম। তখনো ভাবিনি, নাটকটি সাধারণ দর্শকদের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি যাঁদের জন্য লেখা, তাঁদের মনকেও এভাবে স্পর্শ করবে। যাঁদের জন্য আমরা কাজ করি, তাঁদের কাছ থেকে সমর্থন, উৎসাহ, ভালোবাসা পাওয়াটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এটা আমাকে আরও ভালো নাটক লিখতে উৎসাহিত করবে। এটা আমার জন্য অন্য রকম খুশির সংবাদ।’

নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি বলেন, ‘একজন নির্মাতার সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থাকে। নারী পুলিশদের জীবনটা কিছুটা হলেও পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছি। যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করেছিলাম, সেটা একটু হলেও সবাইকে স্পর্শ করেছে।এই পুরস্কার আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।’নাটকে আরও অভিনয় করেছেন আহসানুল হক মিনু, মনোজ প্রামাণিক, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। নাটকটি আরটিভিতে প্রচার হয়।

Please Share This Post in Your Social Media


মেহজাবীনকে ক্রেস্ট দিল পুলিশ

Update Time : ১২:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ট্রাফিক পুলিশে যোগ দেন আলো। নারী হওয়ার কারণে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন তিনি।

নারী ট্রাফিক পুলিশের বুথের পাশে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।পাবলিক টয়লেটে গিয়ে হেনস্তা হতে হয়। নারী হওয়ায় বাজে মন্তব্য করেন মাতাল ট্রাকচালক। তারপরেও পেশাকে ভালোবেসে কাজ করে যান আলো। দেশের নারী ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে এমন সাহসী একটি গল্প লিখে পুরস্কৃত হলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নাটকটির নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি।

তিন দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে ফোনে জানানো হয়, নাটকের টিমকে পুরস্কার দেওয়া হবে। নাটকটি প্রচারের পর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা তাদের ফোনে ধন্যবাদ জানান।

নারী পুলিশদের এমন সমস্যা দেখানোর জন্য ভক্ত এবং সহকর্মীরা অনেকেই সাধুবাদ জানান। সেই কাজের জন্য আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন। এই সময় সঙ্গে ছিলেন ‘আলো’ নাটকের পরিচালক।

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘একটি কাজ তখনই সার্থক হয়, যখন দর্শক সেই কাজ দেখেন। তাঁদের ভালো লাগা প্রকাশ করেন এবং কাজটি নিয়ে নানান রকম ফিডব্যাক দেন। এই কাজের জন্য প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফিডব্যাক পেয়েছি। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রায় সবাই নাটকটি দেখেছেন, প্রশংসা করেছেন। তাঁরা চান, ভবিষ্যতে তাঁদের না বলা গল্প, ত্যাগ নাটকের গল্পে উঠে আসুক। আমি চেষ্টা করব, এই ধরনের কাজ আরও করতে।’

নাটকটি লেখার সময় কি ভেবেছিলেন এমন একটা জায়গা থেকে স্বীকৃতি পাবেন? মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান থেকে গত ঈদের জন্য “আলো” নাটকটি লিখেছিলাম। তখনো ভাবিনি, নাটকটি সাধারণ দর্শকদের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি যাঁদের জন্য লেখা, তাঁদের মনকেও এভাবে স্পর্শ করবে। যাঁদের জন্য আমরা কাজ করি, তাঁদের কাছ থেকে সমর্থন, উৎসাহ, ভালোবাসা পাওয়াটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এটা আমাকে আরও ভালো নাটক লিখতে উৎসাহিত করবে। এটা আমার জন্য অন্য রকম খুশির সংবাদ।’

নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি বলেন, ‘একজন নির্মাতার সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থাকে। নারী পুলিশদের জীবনটা কিছুটা হলেও পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছি। যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করেছিলাম, সেটা একটু হলেও সবাইকে স্পর্শ করেছে।এই পুরস্কার আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।’নাটকে আরও অভিনয় করেছেন আহসানুল হক মিনু, মনোজ প্রামাণিক, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। নাটকটি আরটিভিতে প্রচার হয়।